তাইওয়ানে দু’দিনের সফরে গিয়েছেন আমেরিকার কংগ্রেসের পাঁচ সদস্য। — ছবি রয়টার্স থেকে।
আমেরিকার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির পর তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন সে দেশের আইনপ্রণেতারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠল চিনের সেনা। তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করল বেজিং।
তাইওয়ানে দু’দিনের সফরে গিয়েছেন আমেরিকার কংগ্রেসের পাঁচ সদস্য। তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর এড মার্কি। তিনি সাক্ষাৎ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে। এই সফর নিয়ে আগে থেকে কোনও ঘোষণা করেনি আমেরিকা।
পেলোসির পর এই সফর নিয়েও দারুণ চটেছে চিন। ঠারেঠোরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তত হতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য হল, যে ভাবে হোক স্বশাসিত তাইওয়ানকে কব্জায় রাখা। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই জানান, সে দেশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চান তিনি। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। বলেছেন, এই থেকেই স্পষ্ট ‘স্বৈরাচারী রাষ্ট্রগুলো সারা বিশ্বের প্রতি কতটা ভয়ঙ্কর।’
চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান সামরিক মহড়া নিয়ে বলেন, ‘‘দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, ‘স্বাধীন তাইওয়ান’কামী বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈদেশিক হস্তক্ষেপ আটকানোর জন্য চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি লাগাতার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’’
তাইওান অবশ্য চিনের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে জানিয়েছে, ‘‘আমাদের প্রতিবেশী খারাপ বলে আমারা ভয় পাব, বন্ধুদের আসতে দেব না, তা অনুচিত। গণতান্ত্রিক তাইওয়ান কীভাবে বন্ধুত্ব করবে, তা স্বৈরাচারী চিন ঠিক করতে পারে না।’’