২০২০-তে উহানে কোভিড সংক্রমণের পর থেকেই গোটা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শূ্ন্য নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে চিন। তার জন্য গণহারে কোভিড পরীক্ষা, কঠোর লকডাউন, নিভৃতবাসের মতো পদক্ষেপ করেছে তারা।
ছবি: রয়টার্স।
প্রায় এক বছর কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ফের চিনে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশাসন। সংক্রমণ তো বাড়ছেই, তার সঙ্গে চিন্তা বাড়িয়েছে কোভিডে মৃত্যুর বিষয়টিও। চিন প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার কোভিডে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১-এর জানুয়ারির পর আবারও কোভিডে মৃত্যু হল চিনে।
কয়েক সপ্তাহ সংক্রমণের ছবিটা একদম বদলে গিয়েছিল। সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই নেমে গিয়েছিল। কিন্তু আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে ভাইরাস। চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলিতে ফের ওমিক্রনের দাপট বাড়ছে। চিনে ইতিমধ্যেই স্থানীয় ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। শনিবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৭ জন। তার মধ্যে বেশির ভাগই জিলিন প্রদেশে। ইতিমধ্যেই এই প্রদেশে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২০২০-তে উহানে কোভিড সংক্রমণের পর থেকেই গোটা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শূ্ন্য নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে চিন। তার জন্য গণহারে কোভিড পরীক্ষা, কঠোর লকডাউন, নিভৃতবাসের মতো পদক্ষেপ করেছে তারা। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কারণে সংক্রমণ কমেছিল অনেকটাই। মৃত্যু হয়নি গত এক বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু আবার ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তা বাড়ছে সরকারের। তবে এ বার যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি আগের তুলনায় আরও বাড়ানোর চিন্তভাবনা করছে প্রশাসন।
চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় যে ভাবে ওমিক্রনের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে সে বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে আমেরিকা প্রশাসনকে আগাম পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্তনি ফাউচি। তিনি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, ওমিক্রনের অন্য রূপ বিএ.২ আমেরিকায় সংক্রমণের হার বাড়াবে। তাই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে যে কোনও মুহূর্তে লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে।