বাঁ দিকে, ইদগাহ মসজিদ ও ডান দিকে, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির। ছবি: পিটিআই ।
জ্ঞানবাপী নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। তার মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের দাবি তুলল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। মসজিদের আগে ওই স্থানে একটি মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’
তাই এই কাঠামো ব্যবহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে।
এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে, কাটরা কেশব দেব মন্দির। এই মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি।
এই বছরে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ নজর ছিল দেশবাসীর। বিজেপির দাবি ছিল, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে মন্দিরও ফিরবে। মথুরা বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয় বিজেপি। এক লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রদীপ মাথুরকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির শ্রীকান্ত শর্মা। মথুরায় বিজেপি জিতলে এই শহরেও মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আগেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।