প্রতীকী ছবি
হিউস্টনের চিনা দূতাবাস বন্ধ করতে বেজিংকে ৭২ ঘণ্টার ‘নোটিস’ দিয়েছিল ওয়াশিংটন। বুধবারের দেওয়া সেই সময়সীমা ফুরোনোর আগেই আজ এর জবাবে চেংদু-র মার্কিন দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল চিন। গত কালই চিনা দূতাবাসের বিরুদ্ধে সরাসরি হ্যাকিং ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ হেনেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পম্পেয়োকে আজ পিঁপড়ের সঙ্গে তুলনা করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিল, তাদের চেংদু-সিদ্ধান্ত প্রত্যাঘাতই— ‘আমেরিকার অযৌক্তিক কাজকর্মের বৈধ এবং প্রয়োজনীয় জবাব।’
আরও পাঁচটা থাকতে কেন হিউস্টনেরই চিনা দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন? এর প্রাথমিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছিল, আমেরিকার গোপন তথ্য তথা বৌদ্ধিক সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ওই দূতাবাসের সামনে একটি ডাস্টবিনে কিছু কাগজপত্র পোড়ানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই আবার মার্কিন করোনা-ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণাগারের তথ্য হাতানোর অভিযোগে দুই চিনা হ্যাকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এই দুই চিনা হ্যাকারের সঙ্গে হিউস্টন দূতাবাসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি আমেরিকার।
বেজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও কাল ক্যালিফর্নিয়ার এক সভায় পম্পেয়ো বলেন, ‘‘গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া হয়ে উঠেছিল বলেই হিউস্টনের ওই চিনা দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’ বিশ্ব জুড়ে চিনের আধিপত্য কায়েমের চেষ্টার বিরুদ্ধেও সরব হতে শোনা যায় তাঁকে।
আজ এরই পাল্টা মার্কিন বিদেশসচিবকে একহাত নিয়েছে বেজিং। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে করোনাকে হাতিয়ার করে চিনকে অকারণে অপদস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনউইং আজ টুইট করেন, ‘‘হাবেভাবে মনে হচ্ছে, মিস্টার পম্পেয়ো নিজেকে আজকের ফস্টার ডালেস (পঞ্চাশের দশকের মার্কিন বিদেশসচিব) মনে করে বিশ্ব জুড়ে কমিউনিস্ট চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চাইছেন। কিন্তু পিঁপড়ে কি আর গাছ নাড়াতে পারে!’’