China

China Himachal: লাদাখ, অরুণাচলের পর চিনের লাল চোখ কি হিমাচলে? গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত

১৯৬২-তে চিন যুদ্ধের সময়ও শান্ত ছিল হিমাচল সীমান্ত। কিন্তু ইদানীং আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, হিমাচলকেও কি নিশানা করতে চলেছে শি চিনফিং-এর দেশ?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শিমলা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫৪
Share:

হিমাচলে চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চৈনিক তৎপরতা বাড়ছে। ফাইল ছবি।

লাদাখ, অরুণাচলের পর এ বার চিনের লাল চোখ কি হিমাচলে? সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশের কিন্নর, লাহুল ও স্পিতি জেলায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চিনের ভূখণ্ডে লাল ফৌজের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। এখানেই শেষ নয়, গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি, এই দুই জেলার ২৪০ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা, সেতু ও হেলিপ্যাড নির্মাণ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি হিমাচলের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকরের হাতে একটি রিপোর্ট তুলে দিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। সেই রিপোর্টে উল্লেখ আছে, কিন্নর, লাহুল ও স্পিতি জেলার এলএসি বরাবর কাঠামো নির্মাণে বিপুল শ্রমশক্তি ব্যয় করছে চিন। হিমাচল পুলিশের ডিজি সঞ্জয় কুন্ডু বলেছেন, ‘‘গত এক বছরের মধ্যে চিন ওই এলাকায় বিপুল সৈন্য সমাবেশ করেছে। ভারতীয় ভূখণ্ড অর্থাৎ হিমাচলের দিকে নজরদারিও বেড়েছে। সে জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো সংস্কারের কাজও সেরে ফেলেছে লাল ফৌজ।’’

Advertisement

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তের পারাং নদীর উত্তর ধার বরাবর নতুন সড়ক তৈরি করছে চিন। পাশাপাশি চিন সীমান্তের শক্তি, চুরুপ ও ডলমুর গ্রামে এলএসি বরাবর দ্রুত পরিকাঠামো নির্মাণের কাজেও হাত দিয়েছে চিন। পুলিশের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নজরদারির যন্ত্রও বসাচ্ছে চিন। ক’দিন আগেই স্পিতি জেলার একটি পাহাড়ে চিনের পতাকা পাওয়া গিয়েছে।

লাদাখ, অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের পাশাপাশি কি এ বার লাল ফৌজের নজরে হিমাচলও। রাজ্যপালকে দেওয়া পুলিশের রিপোর্ট কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৯৬২ সালে ভারতের সঙ্গে চিনের যুদ্ধের সময়ও শান্ত ছিল হিমাচল সীমান্ত। কিন্তু ইদানীং আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, হিমাচলকেও কি নিশানা করতে চলেছে শি চিনফিং-এর দেশ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement