চিনে শুকনো নদীখাত ধরে হাঁটছে মানুষ- রয়টার্স।
প্রবল তাপপ্রবাহ এবং খরায় জেরবার চিন। সেখানে প্রবল দাবদাহ এবং বৃষ্টিপাতের অভাবে অধিকাংশ নদীই শুকিয়ে যেতে বসেছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দেশের অন্যতম দীর্ঘ নদী ইয়াংসি বিভিন্ন স্থানে শুকিয়ে যেতে বসেছে। যার জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জলশক্তির দ্বারা চালিত সংস্থাগুলিকে আপাতত তাদের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে খরার জন্য দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়। খরায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ। আবহাওয়া দফতরের তরফেও পরিস্থিতি বদলের কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তারা জানিয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর মাস অবধি দেশে খরা পরিস্থিতি চলবে।
রবিবারই চিনের সিচুয়ান প্রদেশের সরকার জানিয়েছে, সেখানকার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাধারের জলস্তর প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই প্রতি গ্রীষ্মে চিনে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চিন বিদ্যুতের জন্য অনেকাংশেই জলবিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত খরার কারণে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিচুয়ানের শতাধিক কারখানায় নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। চিনের একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, টেসলা, ফ্যাক্সকনের মতো সংস্থাগুলি উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। প্রবল দাবদাহে চিনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছে সে দেশের শিল্পমহল।