এ বার আমেরিকার বিরুদ্ধে বেলুনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তুলল চিন, অস্বীকার পেন্টাগনের। ছবি: রয়টার্স।
নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া চিনা বেলুনকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে গুলি করে নামিয়েছিল আমেরিকা। আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছিল নজরদারি চালানোর জন্যই ওই বেলুন পাঠিয়েছে। চিনের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ বার আমেরিকার বিরুদ্ধেই পাল্টা বেলুনের মাধ্যমে নজরদারির অভিযোগ তুলল চিন। যদিও চিনের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে জানা গিয়েছে, চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার জানিয়েছেন, “২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে অন্তত দশ বার চিনের আকাশসীমানায় ঢুকেছে আমেরিকার বেলুন। আমেরিকার মতো চিনেরও অভিযোগ, নজরদারির উদ্দেশেই এই বেলুন পাঠানো হয়েছিল। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র আদ্রিয়ান ওয়াটসন টুইটারে চিনের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “চিন আমেরিকার বিরুদ্ধে নজরদার বেলুন পাঠানোর যে অভিযোগ তুলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
কিছু দিন আগেই উত্তর-পশ্চিম আমেরিকায় একটি বেলুন উড়তে দেখে আমেরিকার সেনাবাহিনী। পেন্টাগনের তরফে দাবি করা হয়, বেলুনের মাধ্যমে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ চালাচ্ছে বেজিং। আমেরিকার সামরিক কার্যকলাপের উপর বেলুনের মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেন্টাগনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানান, বেলুনটির ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ করা হবে। চিনের তরফে অবশ্য নজরদারির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। তারা জানায়, আবহাওয়া সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক কারণে বেলুনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, এই বেলুনটি হাওয়ার গতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে আমেরিকায় ঢুকে পড়ে। এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বেজিং। পাশাপাশি তারা এ-ও জানায়, এই ভুল যাতে দ্বিতীয় বার না হয় সেই চেষ্টা করা হবে। আমেরিকা বেলুনটিকে ধ্বংস করতে ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখানোয় তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখে চিন।