China

ভারতের উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় একাধিক হানা চিনের! দাবি মার্কিন সংস্থার

প্রায়শই সাইবার হানার ঘটনা ঘটলেও, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র প্রযুক্তি নিরাপদই রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান কে শিবন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সীমান্তে চোখ রাঙানোর পাশাপাশি ভারতের উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরও নজর পড়েছে চিনের। ২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ভারতের উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে একাধিক বার আক্রমণ চালিয়েছে তারা। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ২০১৭-তেও একই ধরনের হামলা চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চায়না এরোস্পেস স্টাজিড ইনস্টিটিউট (সিএএসআই)-এর রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।

সিএএসআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা। মার্কিন সরকারের সচিব স্থানীয় আধিকারিক, চিফ অব স্টাফ, বায়ুসেনা এবং বিশেষ বাহিনীর নেতাস্থানীয় লোকজনের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে তারা। এ ছাড়াও তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়ে উঠতে পারে, বিচার-বিবেচনার মাধ্যমে তা নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগের নীতি নির্ধারণকারীদের পরামর্শ দেয় ওই সংস্থা।

২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরে ১৪২ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএএসআই। তাতে বলা হয়েছে, মহাকাশে উপগ্রহ প্রতিরোধ প্রযুক্তি রয়েছে চিনের। তার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মহাকাশ প্রযুক্তি এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে অনুসরণ করে চলা উপগ্রহের উপর হামলা চালায় তারা। এই কাজের জন্য চিনের কাছে কো-অর্বিটাল স্যাটেলাইট, যা কিনা শত্রুপক্ষের উপগ্রহকে অনুসরণ করে, কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র, জ্যামার্স এবং সাইবার অস্ত্র রয়েছে। শত্রুপক্ষকে সম্পূর্ণ কার্যত বোবা-কালা করে রেখে যাতে তাদের উপর হামলা চালানো যায়, তার জন্য চিনা সেনা (পিএলএ)-র হাতে ইতিমধ্যেই বিশেষ প্রযুক্তি এসে পৌঁছেছে এবং সেই প্রযুক্তিতে তারা আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা করছে বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৃষি বিল নিয়ে আপত্তি জানাতে বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন বিরোধীরা​

এর আগে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক নীতি সংক্রান্ত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থা কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়। শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে ভারত যখন ব্যস্ত, চিন ইতিমধ্যেই উন্নত ধরনের সাইবার হানা প্রযুক্তি তৈরি করে ফেলেছে। শত্রুপক্ষের মহাকাশযান বা উপগ্রহ হাইজ্যাক করা, তাদের প্রযুক্তি বিকল করে দিতে সক্ষম তারা। তার জন্য মাটিতে, আকাশে এবং মহাকাশে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার তৈরিতে বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। তার মাধ্যমে আপলিঙ্ক, ডাউনলিঙ্ক, ক্রশলিঙ্কগুলিকে নিশানা করে শত্রুপক্ষের মহাকাশ প্রযুক্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম তারা। সেখান থেকে তথ্য চুরিও করে নিতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রিয়ার ‘অওকাত’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা পুলিশ অফিসার এ বার বিহারে ভোটে প্রার্থী!​

তবে প্রায়শই সাইবার হানার ঘটনা ঘটলেও, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র প্রযুক্তি নিরাপদই রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান কে শিবন। তিনি জানান, ভারতের একটি স্বাধীন এবং বিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক রয়েছে, সাধারণ মানুষের নজর থেকে তা দূরে রাখা হয়েছে। ইন্টারনেটের সঙ্গেও সেটি সংযুক্ত নয়। তাই ওই প্রযুক্তি নিরাপদ রয়েছে। ইসরোর আরও একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার হানার ঘটনা ঘটলেও, তার পিছনে কে রয়েছে তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সাইবার হানার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে বিশেষ প্রযুক্তি রয়েছে ইসরোর কাছে। তাই চিন এ রকম ঘটিয়ে থাকলেও, ব্যর্থই হতে হয়েছে তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement