প্রতীকী ছবি
নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে নাম না-করে চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সাম্প্রতিক নৌ-সক্রিয়তা ও একাধিপত্বের প্রচেষ্টা নিয়ে সরব হন ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার ব্যারি ও’ফ্যারেল।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন চলছে অশান্তি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া জোট গড়ে চিনকে জলপথে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। আগে হয়েছে ভারত, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার নৌ-মহড়া। আজ অস্ট্রেলিয়ার দূত জানিয়েছেন, সমুদ্রপথে তাদের নৌ ও বায়ুসেনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। বেজিংয়ের নৌ-সক্রিয়তা নিয়ে ফ্যারেল বলেন, ‘‘অন্যান্য দেশের সম্পদকে তছনছ করা, কিছু রাষ্ট্রের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়া, নৌ-সন্ত্রাস তৈরির মত ঘটনা ঘটছে। সমস্ত রাষ্ট্রের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা যাতে কোনও অশান্তি না-ঘটে।’’
কূটনীতিকদের মতে, ফ্যারেলের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, করোনা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর রাষ্ট্রের নিশানায় বেজিং। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে সিকিম এবং লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই তিক্ততা আরও বাড়িয়ে আজ চিন অভিযোগ করেছে, আকসাই চিনের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত বেআইনিভাবে প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো তৈরি করেছে।