—প্রতীকী চিত্র।
তিন বছরের শিশুর হাতে খুন একরত্তি। পিস্তল নিয়ে খেলতে খেলতে আচমকা গুলি চালায় শিশুটি। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তার এক বছর বয়সি বোনের।
ক্যালিফর্নিয়ার সান দিয়েগো কাউন্টি এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, বাড়িতে অসাবধানে পিস্তল রাখা ছিল। হাতে পেয়ে তা নিয়ে খেলতে শুরু করে শিশুটি। তার সামনেই ছিল একরত্তি বোন। কোনও অভিভাবক সেখানে ছিলেন না।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ খেলতে খেলতে শিশুটির হাতের পিস্তল থেকে গুলি চলে। গুলি গিয়ে লাগে এক বছরের শিশুকন্যার মাথায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। তারা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাড়ে ৮টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে তাদের খবর দিল তা স্পষ্ট নয়। এখনও জানা যায়নি শিশুর বাবা, মা কিংবা অন্য কোনও অভিভাবক ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন।
আমেরিকায় পিস্তলের দুর্ঘটনা নতুন নয়। সেখানে প্রতি ঘরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল থাকে। আত্মরক্ষার্থেই আমেরিকাবাসী নিজের কাছে পিস্তল রাখতে পারেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয় মাঝেমাঝেই। প্রায়ই ভুলবশত গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর শোনা যায়। ঘরে ঘরে পিস্তল রাখার ছাড়পত্র নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে আমেরিকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের। কেউ বলেন, আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রত্যেকের কাছেই অস্ত্র থাকা প্রয়োজন। কেউ আবার বলেন, আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে পিস্তল রাখার আইনে পরিবর্তন আনা দরকার।