Fake Hospital in Surat

ধুমধাম করে ‘ভুয়ো’ ডাক্তারদের হাসপাতাল উদ্বোধন সুরাতে! এক দিনেই ঝাঁপ বন্ধ করল প্রশাসন

সিল করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। চলছে তদন্ত। হাসপাতালে নিযুক্ত সব চিকিৎসকের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যত দিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত ওই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ধুমধাম করে উদ্বোধন হয়েছিল ‘ভুয়ো’ হাসপাতালের! তার ডাক্তারেরাও আবার নকল! কিন্তু বেশি ক্ষণ চলল না। খবর পেয়ে এক দিন পরেই হাসপাতালের ঝাঁপ বন্ধ করিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি গুজরাতের সুরাতে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম জনসেবা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল। ‘এনডিটিভি’-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সুরাতের পান্ডেসরা এলাকায় হাসপাতালটির উদ্বোধন হয়। ধুমধাম করে পালিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে নাম দেওয়া হয় শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশের কর্মকর্তাদের। অথচ অভিযোগ, এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগই করা হয়নি। আরও জানা গিয়েছে, হাসপাতালটির পাঁচ জন সহ-প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে অন্তত দু’জনের স্নাতক স্তরের শংসাপত্র ভুয়ো। বাকি তিন জনের শংসাপত্র নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যতম আমন্ত্রিত ‘ডাক্তার’ বিআর শুক্লের বিরুদ্ধে গুজরাত মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্‌স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলাও রয়েছে। তাঁর আয়ুর্বেদ শিক্ষার শংসাপত্র নিয়েও একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। এর পরেই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। উদ্বোধনের এক দিনের মধ্যেই হাসপাতালের ঝাঁপ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের কর্মকর্তা বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘হাসপাতালের পাঁচ সহ-প্রতিষ্ঠাতার প্রত্যেকের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তাঁদের শংসাপত্রও জাল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে নাম ছিল সুরাত পৌরসভার কমিশনার শালিনী আগরওয়াল, পুলিশ কমিশনার অনুপম সিংহ গহলৌত এবং যুগ্ম পুলিশ কমিশনার রাঘবেন্দ্র ভাতস-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের। কিন্তু অভিযোগ, এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়নি। এর পরেই সিল করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। চলছে তদন্ত। হাসপাতালে নিযুক্ত সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শংসাপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যত দিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত ওই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement