গত নভেম্বরে আত্মপ্রকাশ করে চ্যাটজিপিটি। প্রতীকী ছবি।
চ্যাটজিপিটি নিয়ে দুনিয়াজুড়ে হইচইয়ের মধ্যেই এল প্রথম ধাক্কা। ইতালিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটিকে। ভাল পরিষেবা দেওয়ার নামে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে। পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাটিকে অবিলম্বে দেশে চ্যাটবটের ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে ইতালির সরকার।
গত নভেম্বরে আত্মপ্রকাশ করে চ্যাটজিপিটি। একদা ইলন মাস্কের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’ জানায়, কৃত্রিম মেধা দিয়ে তারা তৈরি করে ফেলেছে এক অত্যাধুনিক সফ্টওয়্যার। যার নাম চ্যাটজিপিটি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের প্রযাজনীয় তথ্য খোঁজার কাজ অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে মানুষের কাজও কমিয়ে দেবে এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। চিঠি লেখা থেকে শুরু করে আবেদন পত্র, রচনা, প্রতিবেদন, গান বা কবিতা লেখা— সবই করতে পারে চ্যাটজিপিটি। তার পর থেকেই চ্যাটজিপিটির ব্যবহার হুড়মুড়িয়ে বাড়তে শুরু করে দুনিয়া জুড়ে। আচমকাই সেই জনপ্রিয়তায় বিজয়রথ থমকালো ইতালিতে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে একটি আপাত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইতালি। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ভাল পরিষেবা দেওয়ার নামে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যচুরি করছে। ইতালির নজরদারদের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটির তথ্যচুরির সমস্যাটিও খুব একটা নতুন নয়। গত বছর ২০ মার্চেও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য চুরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছিলেন ওপেনএআই সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যান।
ইতালি জানিয়েছে, এই প্রযুক্তিতে বয়স বিচারের কোনও প্রক্রিয়া নেই। চ্যাটজিপিটি যেহেতু ১৩ বছরের উর্ধ্বে থাকা যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন, তাই অনেক সময়েই ছোটদের জন্য উপযুক্ত নয় এমন বিষয়বস্তুও তারা দেখে ফেলে।
এমনই নানা কারণ দেখিয়ে আপাতত ২০ দিনের জন্য চ্যাটজিপিটি পরিষেবা ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতালিতে। এই ২০ দিনের মধ্যে ওপেনএআইকে জানাতে হবে, কী ভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সমস্যার মোকাবিলা করবে তারা। তাদের বক্তব্য শোনার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইতালি।