কমনওয়েলথের প্রধান চার্লস-ই

কমনওয়েলথের যে কোনও সিদ্ধান্তে ভারতের ভোট যে গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রানি নিজেই। গত বছর ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চোগাম-এ অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন খোদ চার্লস।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৬
Share:

যুবরাজ চার্লসকেই পরবর্তী প্রধান হিসেবে বেছে নিলেন কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। আজ উইনসরে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন (চোগাম)-এর এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

কালই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সূচনা-বক্তৃতায় বলেন, ‘‘১৯৪৯ সালে বাবার হাত ধরে কমনওয়েলথের পত্তন হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম ১৯৫৩ সালে। আশা করি, যুবরাজ চার্লস এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’’ কমনওয়েলথ প্রধানের পদটি বংশানুক্রমিক নয়। ফলে রানির অপ্রত্যাশিত এই মন্তব্যে কালই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কালই চার্লসকে পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেন। আজ বৈঠকের পরে দেখা যায়, রানিকে হতাশ করেননি বাকি রাষ্ট্রপ্রধানেরাও।

কমনওয়েলথের পরবর্তী প্রধান কে হবেন, তাই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সবাই শ্রদ্ধা করলেও উত্তরাধিকার সূত্রে এই দায়িত্ব যুবরাজ চার্লসকে দিতে রাজি ছিলেন না অনেকেই। তাঁদের সুপারিশ ছিল, দু’বছর অন্তর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কমনওয়েলথ প্রধান নির্বাচিত করা হোক। অনেকে আবার খোলাখুলিই ভারতকে বেশি দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের মতে, কমনওয়েলথের বহুজাতিকতা বজায় রাখতে কমনওয়েলথের সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক দিল্লিতে। আজকের সিদ্ধান্তের পরে তাঁরা দাবি করছেন, কমনওয়েলথের উপরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের একচেটিয়া আধিপত্য ফের প্রমাণিত হয়ে গেল।

Advertisement

কমনওয়েলথের যে কোনও সিদ্ধান্তে ভারতের ভোট যে গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রানি নিজেই। গত বছর ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চোগাম-এ অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন খোদ চার্লস। সঙ্গে ছিল রানির লেখা আমন্ত্রণপত্র। মোদী লন্ডনে আসার পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রানি। ফলে ভবিষ্যতে কমনওয়েলথ প্রধানের দায়িত্ব ভারতের কাছে আসতেই পারে, মনে করছেন কূটনীতিকরা। এক শীর্ষ কূটনীতিকের মতে, ‘‘এখন চার্লসকে বেছে নিলেও তাঁর পরে যে রাজকুমার উইলিয়াম এই পদে বসবেন, এটা তো ঠিক হয়নি। চার্লসের পরে নতুন প্রধান নির্বাচন করবেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।’’

কমনওয়েলথের প্রধান দফতর ব্রিটেনেই থেকে যাওয়ায় খুশি টেরেসা মে। কারণ ব্রেক্সিট-পরবর্তী জমানায় কমনওয়েলথের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উঠে পড়ে লাগতে হবে তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement