জাস্টিন ট্রুডো।
এক মাস প্রায়, উত্তপ্ত কানাডা। টিকা নেওয়া আবশ্যিক ঘোষণা করা হয়েছে এ দেশে। তাতে ক্ষুব্ধ দেশবাসীর একাংশ। তাঁরা টিকা নিতে চান না। টিকা না-নেওয়া থাকায় অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের জারি করা এই নিয়ম প্রত্যাহার করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভের জেরে ও বিভিন্ন হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে কানাডার।
দেশের কিছু অংশে বিক্ষোভ হিংসার চেহারা নিতেও শুরু করেছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পশ্চিমে একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণস্থলে ভয়ানক সংঘর্ষ বাধে সম্প্রতি। তার তদন্ত করছে পুলিশ। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কমপক্ষে ২০ জন লোক হাতে কুড়ুল নিয়ে ‘কোস্টার গ্যাসলিঙ্ক’ কনস্ট্রাকশন সাইটের নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে হামলা চালায়। সংস্থার গাড়ির জানলার কাচ ভেঙে দেয় তারা। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা দেখে, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলা। রাস্তা বন্ধ করতে আলকাতরা মাখানো তার, বোর্ড, পেরেক ছড়ানো ও জায়গায় জায়গায় আগুন লাগানো। পুলিশি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ সব সরিয়ে তারা যখন এগোতে যায়, তখন কিছু লোক গ্যাস-বোমা ছোড়ে। অনেকে গাছের ভাঙা ডালে আগুন ধরিয়ে তা ছুড়ে দেয় পুলিশের দিকে। এক পুলিশ কর্তা তাতে জখমও হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে, লক্ষ লক্ষ ডলারের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। নির্মাণস্থলের প্রচুর যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাণ সংশয় ঘটানো হয়েছে
সংস্থার কর্মীদের।
আগে সপ্তাহান্তে, অর্থাৎ শনি ও রবিবার বিক্ষোভ চলছিল কানাডায়। এখন আর দু’দিনের বিষয় নেই। দেশব্যাপী চলা বিক্ষোভের জেরে কানাডার তিনটি কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী কানাডায় পড়াশোনা করেন। ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ওই তিনটি কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের ভারতীয় পড়ুয়ারাও দূতাবাসের শরণাপন্ন
হয়েছেন।