নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। ছবি সংগৃহীত।
দেশের বাইরে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্যস্থল কানাডা। অধিকাংশ ভারতীয় পড়ুয়াই এ দেশে একবার পড়তে এসে এখানেই চাকরি করে পাকাপাকি ভাবে থেকে যেতে চান। তার একটা বড় কারণ কানাডার উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা ও সহজ ভিসা এবং অভিবাসন নীতি। কিন্তু সেই কানাডা সরকারই ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সস্তা শ্রমিকের মতো ব্যবহার করছে বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
এক প্রথম সারির আমেরিকান সংবাদমাধ্যম তাদের ওই রিপোর্টে দাবি করেছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে কানাডায় শ্রমিকের ঘাটতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেই ঘাটতি কমাতে সাময়িক সময়ের জন্য নতুন কিছু কর্মনীতির কথা ঘোষণা করেছিলেন কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজ়ার। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সেই নতুন নীতিতে বলা হয়েছিল, কানাডায় বসবাসকারী অন্তত ৫ লক্ষ বিদেশি পড়ুয়া আরও বেশি সময় কাজের অনুমতি পাবেন। সেই সঙ্গে স্নাতক স্তর শেষ করার পরে কোনও স্থায়ী চাকরি পাওয়ার আগে তাঁরা আরও ১৮ মাস কানাডায় থাকতেও পারবেন। বিদেশি পড়ুয়াদের অনেক কম অর্থে কাজে রাখার মতো সুবিধে রয়েছে কানাডার সংস্থাগুলির। ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতেও এই ছাত্রছাত্রীদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পরে এক বছর বসে থেকেও স্থায়ী চাকরি পাচ্ছেন না ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। ফলে স্বাস্থ্য-সহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের কানাডায় থাকার অনুমতিও। বর্তমানে প্রায় ১.৮৩ লক্ষ ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন কানাডায়। কোভিডকালে নানা বিধি-নিষেধের জন্য সংখ্যাটা অনেকটা কমে গেলেও এ বছর থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ফের ভারত থেকে কানাডায় পড়তে আসছেন।
টরন্টোর কাছে এক প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন ড্যানিয়েল ডিসুজ়া নামে এক ছাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘সঞ্চয়ের অর্থ খরচ করে বসে বসে খেতে হচ্ছে এখন। বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের কানাডা সরকার শুধুমাত্র সস্তা শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। তাঁদের স্থায়ী কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া উচিত।’’
তবে এটা শুধুমাত্র ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এমনটা নয়। কানাডায় পড়তে আসা অন্য দেশের পড়ুয়ারাও একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও অভিযোগ।