Canada Crisis

দাবানল, বন্যায় বিধ্বস্ত কানাডা

অ্যালবার্টার স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার মোট ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে সেখানে কমপক্ষে ৭৮টি দাবানল জ্বলছে বলে জানাচ্ছে দমকল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টরন্টো শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৮:১১
Share:

প্রকৃতির রোষের জোড়া ফলায় বিপন্ন কানাডারবিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: রয়টার্স।

প্রকৃতির রোষের জোড়া ফলায় বিপন্ন কানাডারবিস্তীর্ণ এলাকা।

Advertisement

গত এক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা রেকর্ড গড়ছে। যার জেরে এ বার দাবানলে বিধ্বস্ত পশ্চিম কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশ। অন্য দিকে আবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের অন্দরে দ্রুত গলছে বরফ। যার জেরে জারি হয়েছে বন্যার সতর্কতা। এই দুই পরিস্থিতির জেরে ঘরছাড়া বহু মানুষ।

অ্যালবার্টার স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার মোট ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে সেখানে কমপক্ষে ৭৮টি দাবানল জ্বলছে বলে জানাচ্ছে দমকল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেড রিভার ক্রি নেশন এলাকা। সেখানে ইতিমধ্যেই ২০টি বাড়ি ও স্থানীয় থানাটি গ্রাস করেছে আগুনের লেলিহান শিখা। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অ্যালবার্টা প্রদেশের রাজধানী এডমন্টনের পশ্চিমে অবস্থিত ড্রেটন ভ্যালি অঞ্চলটিও দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেখানে বাস কমপক্ষে সাত হাজার মানুষের।

Advertisement

যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে প্রশাসন। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই অঞ্চলে দাবানল বিরল কিছু নয়। তবে বছরের এই সময়ে এত দাবানলের দাপট সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। যা পূর্বাভাস তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে আরও গরম বাড়বে, হাওয়ার তোড়ও আরও তীব্র হবে। ফলে দাবানলের তীব্রতাও আরও বৃদ্ধি পাবে। পরিস্থিতি যাতে কড়া হাতে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য কোমর বাঁধছেন আমাদের দমকল কর্মীরা।’’

এ দিকে আবার বরফ গলার জেরে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যার মুখে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। নদীর পার উপচে জল ঢুকে গিয়েছে ক্র্যাশ ক্রিক এবং গ্র্যান্ড ফর্কের বহু বাড়িতে। আশঙ্কা বাড়িয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উষ্ণতা বৃদ্ধি বরফ গলা বাড়িয়ে তুলেছে যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে জলস্তরের উপর। বৃষ্টিপাত হলে যা আরও গুরুতর রূপ নিতে পারে। বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement