এই ছবি ঘিরেই তরজা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
মানচিত্র নিয়ে একটি টুইট। আর সেটা নিয়ে রীতিমতো টুইট-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল দু’টি দেশ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। কানাডার ন্যাটো অ্যাকাউন্ট হঠাৎই সে দিন একটি মানচিত্রের ছবি টুইট করে। তাতে রাশিয়ার অংশে রাশিয়ারই নাম লেখা। কিন্তু ইউক্রেনের অংশে শুধু লেখা ‘নট রাশিয়া’। সঙ্গে কয়েকটা লাইন। “ভৌগোলিক অবস্থান কঠিন হতে পারে। রুশ সেনা, যাঁরা মাঝে মধ্যেই ‘ভুলবশত’ ইউক্রেনে ঢুকে পড়েন, তাঁদের জন্য এটা একটা নির্দেশিকা।” ব্যস। এই টুইটের পরে শোরগোল পড়ে যায়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ওই ছবিটি প্রায় ২৫ হাজার বার রি-টুইট করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার দূত স্যামান্থা পাওয়ারও।
আসলে গত কয়েক দিন ধরেই কিয়েভ সরকার অভিযোগ জানিয়ে আসছে যে, সীমান্ত পার করে প্রায় কয়েক হাজার রুশ সেনা পূর্ব ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে। কিয়েভের আশঙ্কা, পূর্ব ইউক্রেনে সেনা অভিযানের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে রাশিয়া। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে রুশ সরকার অবশ্য প্রতি বারই বলেছে, ভুল করে তাদের সেনা ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে। সেনা অভিযানের অভিপ্রায় মস্কোর নেই। কানাডার এই টুইটটির পিছনে আসল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে সতর্ক করা।
তবে বিষয়টি একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি মস্কো। কানাডার টুঠের পরেই নিজেদের দেশের একটি মানচিত্রের ছবি পাল্টা টুইট করে তারা। সেই সঙ্গে লেখা, “আমাদের কানাডার সহকর্মীদের সাহায্যের জন্য ইউরোপের সাম্প্রতিক ভৌগোলিক অবস্থান স্পষ্ট করা হল।” ওই মানচিত্রে আবার ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে। গত মার্চেই গণভোটের রায়ের মাধ্যমে কৃষ্ণ উপসাগরের এই উপদ্বীপটি দখল করেছিল রাশিয়া।
টুইট-যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্র রিক রথ। তাঁর বক্তব্য, “সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই কথোপকথনটা গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সার্বভৌম অংশে রুশ সেনাদের পাওয়া যায় আর রাশিয়া বারবার দাবি করছে, ভুল করে ওরা ওখানে ঢুকে পড়েছে। যেটা কেউ বিশ্বাস করে না।”