সন্তানদের সঙ্গে কেটরিনা। ছবি— টুইটার।
গর্ভধারণকালে অন্তঃসত্ত্বাদের শরীরে তৈরি হয় প্ল্যাসেন্টা বা নাড়ি। সেই নাড়ির মাধ্যমে মায়ের শরীর থেকে অক্সিজেন, পুষ্টির উপাদান যায় ভ্রূণের দেহে। ভ্রূণের শরীরের বর্জ্যও এর মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে। কেটরিনা হিল নামে কেমব্রিজের এক মহিলা সম্প্রতি নিজের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে প্ল্যাসেন্টা এনে সংরক্ষণ করেছিলেন। সম্প্রতি তা দিয়েই বানিয়েছিলেন বুরিতো।
প্ল্যাস্টেন্টা দিয়ে বানানো বুরিতো কেটরিনা নিজের দুই সন্তানকেও খাইয়েছেন। তিনি মনে করেন, তা শরীরকে চাঙ্গা করে। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কেমব্রিজের ওই মহিলা ২০১৬ সালে প্রথম সন্তান জন্মানোর পরই প্ল্যাসেণ্টাকে ক্যাপসুল বানিয়ে খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন খরচের জন্য আর তা করে ওঠা হয়নি। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর সেই ইচ্ছা পূর্ণ করলেন তিনি।
২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল নিজের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তার পর সেই নাড়ি ফ্রিজারে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি তা দিয়েই তিনি ওই বুরিতো বানিয়েছেন। এই কাজ করার জন্য দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের আগে বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়াও করেছেন কেটরিনা। ইতিপূর্বে এ রকম কাজ করেছেন যে মহিলারা, অনলাইনে তাঁদের থেকে পরামর্শ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে কেটরিনা জানিয়েছেন, ‘‘প্ল্যাসেন্টা দিয়ে ক্যাপসুল বানানো নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। তা ব্যয়সাপেক্ষ। তাই রান্না করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জানি, তা খুব দ্রুত কিছু জিনিস সারিয়ে তোলে। মা হওয়া পরবর্তী বিষণ্ণতার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। মাতৃদুগ্ধের উৎপাদন বাড়ায়।’’
প্ল্যাসেন্টা সংরক্ষণ করে তা খাওয়া হালে চলতি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক মহিলা মনে করেন, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী। কিন্তু ২০১৫ সালে করা নর্থওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, প্ল্যাসেন্টা খাওয়ার সে রকম উপকারিতা নেই। এতে বৈজ্ঞানিক ভাবে এ রকম কিছু পাওয়া যায়নি। প্ল্যাসেন্টায় উপকার খুঁজে খেতে গিয়ে বিপদ না বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ।