মেরিল্যান্ডের অ্যান্ড্রুজ় বিমান ঘাঁটি থেকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময়ে ট্রাম্পের মুখে মাস্ক দেখা গেল না। এপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পড়ুয়া-ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঠেকাতে আগেই আদালতে গিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। বিদেশি পড়ুয়াদের স্বার্থরক্ষায় ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার মামলা করতে চলেছে ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশও। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের তরফে মামলা দায়ের করা হবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘করোনা-সঙ্কটের এই আবহে হাজার হাজার বিদেশি পড়ুয়াকে এ ভাবে বিপদে ফেলার কোনও মানেই হয় না।’’ সূত্রের খবর, এফ-১ এবং এম-১ ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘নৃশংস ও বিদেশি-বিদ্বেষমূলক’ তকমা দিয়ে তা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে হোমল্যাল্ড সিকিয়োরিটি ও মার্কিন শুল্ক ও অভিবাসন দফতরকে চিঠি দিয়েছেন ৩০ জন ডেমোক্র্যাট সেনেটর ও ১৩৬ জন কংগ্রেস সদস্য।
গত সোমবার মার্কিন শুল্ক ও অভিবাসন দফতরের এক নির্দেশিকায় বলা হয়, কোর্স অনলাইনে হলে বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকা ছাড়তেই হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ট্রাম্প আগামী মাসেই সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস লেকচার শুরু করতে চান। হার্ভার্ড যে ৪০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে অনলাইনেই সব কোর্স করাতে চাইছে, তা-ও হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। তাই বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা বাতিলের কথা বলে ট্রাম্প কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরেই চাপ বাড়াতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ১০ হাজারেরও বেশি বিদেশি পড়ুয়া রয়েছেন এখন।
ডেমোক্র্যাটরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, বিদেশি পড়ুয়াদের নিজের দেশে অনলাইন কোর্সে বাধ্য করা মানে তাঁদের অকারণে চাপে ফেলা। অনেকেরই টাইম-জ়োন মিলবে না। উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়াও সম্ভব নয় অনেকের। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষত ছাত্রসমাজের কাছে বিরূপ বার্তা যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।