তবিবুর রহমান। —নিজস্ব চিত্র
বাংলাদেশের পাঁচ মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়ে গিয়েছে ত্রিপুরায়। তাঁদের অন্যতম লেফটেন্যান্ট এস এম ইমদাদুল হক (বীর উত্তম)-এর কবরটি স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনেক দিন ধরে আবেদন করে আসছেন তাঁর ছোট ভাই তবিবুর রহমান। নিজেও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। যশোহর জেলার পশু চিকিৎসক, ৭০ বছরের তবিবুর ক্যানসারে ভুগছেন। দাদা স্বাধীন দেশের মাটি পাক, একান্ত কামনা তাঁর।
ফোনে গলা জড়িয়ে আসে। তবু তবিবুর বলেন, “দেশের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে দাদা পালিয়ে ৮ বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মেঘালয় থেকে আসা চিরকুটে খবরটা পেয়েছিলাম। ২৬ শে মার্চ যুদ্ধ শুরুর পরে আর যোগাযোগ হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জানতে পারি দাদা ১৯৭১-এ মারা যান। তার পর আমাদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সিলেট হয়ে ১৯৭৪-এ ত্রিপুরা গিয়ে দাদার কবরস্থান দেখে এসেছি।” এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে আবেদন করে দাদার কবর দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিছু দিন আগে সংবাদপত্রে বিষয়টির উল্লেখ দেখে আবার চেষ্টা শুরু করেন তবিবুর। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু সাড়া পাননি। “দেশ স্বাধীন হওয়ার পঞ্চাশ বছর পরও এই কাজটি করা গেল না!” এই নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও তবিবুরের আশা, দাদার কবর দেশের মাটিতে আসবেই।
মেয়ে আফসানা রহমান বলেন, “সরকারের কাছে আমাদের পরিবারের আবেদন, কবরটি দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। বাড়িতে নিয়ে এলে বাড়ির সবাই কবরে জিয়ারত (প্রদক্ষিণ) ও প্রার্থনা করতে পারব।”