রাজা তৃতীয় চার্লস। ছবি: রয়টার্স।
ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে নানা ধরনের ‘বিরূপ’ মন্তব্য করার জন্য হ্যারি ও মেগানের উপরে নাকি বেদম চটেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়াম। একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ নামের বহু আলোচিত তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পরের দিন এই দাবি করেছে ব্রিটেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
চার্লস ও ডায়ানার ছোট ছেলে হ্যারি ও তাঁর আমেরিকান অভিনেত্রী স্ত্রী মেগানকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রটির প্রথম তিনটি এপিসোড মুক্তি পেয়েছে গত কালই। ক্যামেরার সামনে অকপট ব্রিটিশ রাজকুমার জানিয়েছেন, ‘ভিন্ন জাতির’ হওয়ার জন্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এবং রাজপরিবারের কিছু সদস্যের বিরূপ মন্তব্যের মুখে পড়তে হত তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর মা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে ভাবে সব সময়ে কাটাছেঁড়া চলত, ঠিক তেমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল মেগানকে। যার ফলে মানসিক অবসাদের শিকার হতে হয় হ্যারির স্ত্রীকে।
রাজকুমার আরও দাবি করেছেন, তাঁর বাবা ও দাদা বিয়ে করেছিলেন ‘সুবিধার জন্য’, তাঁর ও মেগানের মতো ‘ভালবাসার জন্য’ নয়। হ্যারির এই মন্তব্যে নাকি খুবই ক্রুদ্ধ হয়েছেন চার্লস ও উইলিয়াম। এখনও সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি জারি না করলেও ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা জানিয়েছেন, হ্যারিদের এই মন্তব্যও ‘অত্যন্ত আপত্তিজনক’।
আজ ব্রিটেনের প্রথম সারির সব দৈনিক ও ট্যাবলয়েডের প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে হ্যারি-মেগানের তথ্যচিত্র। এবং প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমেই হ্যারিদের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। প্রয়াত রানির ‘উত্তরাধিকারকে’ কলুষিত করেছেন হ্যারিরা, এমন মন্তব্যও করা হয়েছে। এক টিভি সাংবাদিক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘‘তথ্যচিত্রটি দেখতে দেখতে আমার সকালের জলখাবার উঠে আসছিল।’’
এই ধরনের ‘বিষাক্ত’ সাংবাদিকতার থেকে বাঁচতেই তো রাজপরিবার ছেড়ে আমেরিকায় পালিয়েছিলেন ডায়ানার ছোট ছেলে ও পুত্রবধূ!