ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল ছবি।
ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনের আগেই বড়সড় সমস্যার মুখে পড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। কনজ়ারভেটিভ পার্টির মোট ৭৮ জন এমপি পদত্যাগ করলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাও। পদত্যাগকারীরা জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-ও। রয়েছেন মাইকেল গোভ ও অ্যানড্রিয়া লেডসমের মতো প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে, নির্বাচনী প্রচারের প্রথম সপ্তাহে কার্যত ‘নিখোঁজ’ সুনক। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের অন্তরঙ্গ ও ব্যক্তিগত উপদেষ্টাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন তিনি।
আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। ঋষি সুনক যে দলের সদস্য সেই কনজ়ারভেটিভ পার্টির একাংশ দাবি তোলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। তার কারণ, দলের প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ভরাডুবি হতে পারে কনজ়ারভেটিভ পার্টির। তবে সুনক সেই সমস্ত প্রস্তাব উড়িয়ে, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম সাধারণ নির্বাচনের মুখে পড়তে হচ্ছে সুনককে।
দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণার পাশাপাশি সুনক এ-ও ঘোষণা করেন, তাঁর নেতৃত্বেই আর্থিক সঙ্কট থেকে রক্ষা পাবে ব্রিটেন। এ বার ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। যদিও, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই একের পর এক কনজ়ারভেটিভ এমপি ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান।
কূটনীতিকদের মতে, নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা কনজ়ারভেটিভ পার্টির। ভোটে জেতার সম্ভাবনা লেবার পার্টির রয়েছে পুরোদস্তুর। স্থানীয় নির্বাচনে ইতিমধ্যেই আশানুরূপ ফল করতে পারেনি সুনকের দল। ৭৮ জন এমপি-র পদত্যাগ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, হার নিশ্চিত ধরে নিয়েই এ ভাবে পদত্যাগ করছেন এমপি-রা।