ডেবি অ্যাব্রামস।
ব্রিটেন থেকে আসা লেবার পার্টির এমপি ডেবি অ্যাব্রামসকে গত কাল দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলেই ডেবির ই-ভিসা বাতিল করে তাঁকে দুবাইয়ে প্রত্যর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। আজ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ভারত-বিরোধী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকায় লেবার এমপি-র ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
ওই সূত্রের দাবি, ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া কোনও দেশের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে। অ্যাব্রামসের কাছে গত বছরের ৭ অক্টোবর অনুমোদিত ই-বিজনেস ভিসা ছিল। বাণিজ্য সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ওই ভিসা দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল সেটির। সূত্রটির কথায়, ‘‘১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ এমপি-র ভিসা বাতিল করা হয়। ওই দিনই তাঁকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজে যোগ দেওয়ায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’’ সূত্রটি মারফত জানা গিয়েছে, ভারত সফরের সময়ে অ্যাব্রামসের কাছে বৈধ কোনও ভিসা ছিল না। তাই তাঁকে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য ‘পৌঁছনোমাত্র ভিসা’-র কোনও পরিসর রাখা নেই দিল্লির বিমানবন্দরে। আর ওঁর কাছে যে ভিসা ছিল, সেটি নিয়ে উনি বাণিজ্যিক বৈঠকেই শুধু যোগ দিতে পারতেন। এ দেশে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ওই ভিসা নিয়ে উনি দেখা করতে পারতেন না।
যদিও ওই এমপি-র দাবি, তাঁর সঙ্গে ‘অপরাধীর মতো আচরণ’ করা হয়েছে। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনও সব খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, অ্যাব্রামসের কাছে কোনও বৈধ ভিসা ছিল না। তাই গত কাল তাঁকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শুধু সরকারি তরফে নয়, ডেবির ভিসা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। আজ এক টুইটে তাঁর দাবি, ‘‘ওঁকে ফেরত পাঠিয়ে ঠিকই করেছে ভারত সরকার। কারণ উনি শুধু এক জন এমপি নন। উনি পাকিস্তানের ছায়া। পাকিস্তানের সরকার ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তাঁর সখ্য কারও অজানা নয়। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত করে এমন যে কোনও পদক্ষেপ অবশ্যই আটকানো প্রয়োজন।’’