ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে জনসমক্ষে বেঁফাস মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুললেন ব্রিটেনের রাজকুমার উইলিয়াম।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে জনসমক্ষে বেঁফাস মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুললেন ব্রিটেনের রাজকুমার উইলিয়াম।
সম্প্রতি লন্ডনে স্ত্রী কেটকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উইলিয়াম। সেখানে তিনি ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘‘ইউরোপ এ ধরনের যুদ্ধ ও রক্তপাতের ছবির সঙ্গে পরিচিত নয়। আমরা ওদের পাশে রয়েছি।’’ ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত উইলিয়ামের এই মন্তব্য বিভেদমূলক এবং জাতিবিদ্বেষী বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ইউরোপ তথা ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে টুইটারে জনৈক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘প্রিন্স উইলিয়াম আসলে বলতে চেয়েছেন, এশিয়া ও আফ্রিকায় যুদ্ধ আর রক্তপাতের ঘটনা স্বাভাবিক। ইউরোপে নয়।’ উইলিয়ামের এই মন্তব্যকে ‘বিরক্তিকর এবং জাতিবিদ্বেষী’ তকমা দিয়ে আর এক জন লিখেছেন, ‘প্রিন্স উইলিয়াম, আপনার পূর্বপুরুষেরা লুটপাট করে, উপনিবেশ গড়ে, গণহত্যা ঘটিয়ে দেশের পর দেশ দখল করেছেন। আপনার দেশ যুদ্ধ দিয়েই গড়া। ইতিহাস তেমনই বলছে।’ আর এক নেট নাগরিক গুগল ঘেঁটে ইউরোপের যুদ্ধের তালিকা বার করে পোস্ট করেছেন। দুই বিশ্বযুদ্ধের পাশাপাশি নব্বইয়ে দশকে যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধে ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, গণহত্যা ইত্যাদির ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে ধিক্কার জানিয়েছেন রাজকুমারকে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে ঘিরে একাধিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এর আগে ইউক্রেনীয় শরণার্থী প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে সমালোচিত হন বুলগেরিয়া এবং পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘ইউক্রেন থেকে যত শরণার্থীই আসুন না কেন, তাঁদের আশ্রয় দিতে আমরা প্রস্তুত। কারণ ওঁরা অন্য শরণার্থীদের মতো নন। ওঁরা শিক্ষিত, বুদ্ধিমান মানুষ।’ শুধু রাষ্ট্রনেতা নন, ‘নীল চোখ আর সোনালি চুলের’ মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্রে মরতে দেখে বিহ্বলতা শোনা গিয়েছে প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলের একাধিক সাংবাদিকের গলাতেও, যাতে বৈযম্যের সুর স্পষ্ট।