ভারতের সঙ্গে বরিসের যোগ বহু দিনের

‘শোম্যান’ এই নেতার ‘বিস্ফোরক’ বক্তৃতা হয় লোকে ভালবেসেছে, নয়তো তাঁকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫০
Share:

ছবি: রয়টার্স।

বিতর্ক বরাবরই তাঁর সঙ্গী। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলা বরিস জনসনের চেহারা, চুলের কায়দা আর ভাবভঙ্গি তাঁর দল, কনজ়ারভেটিভ পার্টির মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এখন তো কেউ কেউ আবার তাঁর চেহারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাদৃশ্যও দেখতে পাচ্ছেন। এমনিতেও ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বরিস।

Advertisement

‘শোম্যান’ এই নেতার ‘বিস্ফোরক’ বক্তৃতা হয় লোকে ভালবেসেছে, নয়তো তাঁকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিয়েছে।

ইটনের স্কুলে পড়াশোনা। যে স্কুলে গিয়েছেন রাজকুমার হ্যারি-উইলিয়ামও। এর পরে অক্সফোর্ডের বেলিয়ল কলেজে। কাজের শুরু সাংবাদিক হিসেবে। কিন্তু একটি খবর লিখতে গিয়ে বানিয়ে উদ্ধৃতি দেওয়ার অপরাধে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তার পরে অন্য একটি দৈনিকে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীকালে দক্ষিণপন্থী একটি কাগজের সম্পাদক হন।

Advertisement

২০০১ সালে এমপি হয়েছিলেন বরিস। রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন। রয়েছে একাধিক অবৈধ সন্তানও। কত জন সন্তান রয়েছে, কখনও তা স্পষ্ট করেননি।

প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা মস্টিন-ওয়েনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল অক্সফোর্ডেই, ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৩-এ তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেরিনা হুইলারের সঙ্গে বিয়ে। তার পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম সন্তানের বাবা হন বরিস। তাঁদের চার সন্তান রয়েছে। মেরিনার সঙ্গে বিয়ের সুবাদে বেশ কয়েকবার ভারত সফরে গিয়েছেন বরিস। দিল্লি ও মুম্বইয়ে মেরিনাদের পরিবারের কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। ভারতীয় খাবারও খেয়েছেন ভালবেসে। ভারতে থাকাকালীন তাঁকে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ বলেই মনে হয়েছে মেরিনার পরিচিতদের।

তবে সেই বিয়েও আর টেকেনি। বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি এখনও। ৫৫ বছর বয়সি বরিসের বর্তমান সঙ্গিনী কেরি সাইমন্ডস (৩১) কনজ়ারভেটিভ পার্টিরই জনসংযোগ অধিকর্তা ছিলেন।

২০০৮ সালে মেয়র হয়েছিলেন বরিস। সেই সময় লন্ডনে ছুরি হামলা বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা ছাড়া প্রায়শই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন তিনি। ২০১৫ সালে ফের এমপি হওয়ার পরে দু’বছর ছিলেন বিদেশমন্ত্রীর পদে। ২০১৬ সালে ডেভিড ক্যামেরন ইস্তফা দেওয়ার পরে বরিসও সরে যান নেতৃত্ব থেকে।

আগামী তিন মাস তার সামনে কঠিন পরীক্ষা। কী ভাবে ব্রেক্সিট-বৈতরণী পার করেন তিনি, সেটাই দেখার।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement