ছবি: এএফপি।
আগামী ৩১ অক্টোবরই ব্রেক্সিট করানো ব্রিটেনের সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে— বক্তৃতা দিতে গিয়ে আজ এমনটাই জানালেন রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার কোন পথে চলবে, তার নীতি নিয়ে আজ বক্তৃতা দেওয়ার কথাই ছিল রানির। সেই মতো রানি আজ তাঁর ৬৫তম বক্তৃতায় ২৬টি নতুন বিলের কথা ঘোষণা করেছেন।
যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিলগুলি। ৯৩ বছরের রানি সিংহাসন থেকে সরকারি ঘোষণাপত্র পড়ে বলেন, ‘‘৩১ অক্টোবর ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া আমার সরকারের কাছে বরাবরই অগ্রাধিকার ছিল। এর পাশাপাশি মুক্ত বাণিজ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে ইইউ-এর সঙ্গে নয়া সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী আমার সরকার।’’
ঘোড়ার গাড়িতে করে আজ বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে প্যালেস অব ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছে যান রানি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে, যুবরাজ চার্লস। এই বক্তৃতার আগে সেপ্টেম্বর মাসে বরিস জনসনের পার্লামেন্ট সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সে সময়ে রানিকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও উঠেছে বরিসের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বরিসের সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়।
ব্রেক্সিটের পরবর্তী সময়ের বাণিজ্য এবং ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ও আইনি ক্ষেত্রগুলি রক্ষা করতে সরকারের সব পরিকল্পনার কথাও রানি আজ জানিয়েছেন। ব্রেক্সিটের পরে ইইউ-এর নাগরিকদের অবাধ চলাফেরায় ইতি পড়বে এবং নয়া অভিবাসন প্রক্রিয়াও আসতে চলেছে ২০২১ সালে— সেই সংক্রান্ত বিলের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, পশুকল্যাণ, প্লাস্টিক-দূষণ রোধ, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা, পারিবারিক হিংসা রোধ এবং অপরাধীদের জন্য আরও কড়া আইন আনার প্রস্তাবও এসেছে বিভিন্ন বিলের মাধ্যমে।
তবে এগুলির মধ্যে কতগুলি পাশ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ হাউস অব কমন্সে বরিসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।