ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।—ছবি রয়টার্স।
‘ব্রেক্সিট ফিনিশ লাইন’ পেরিয়ে গিয়েছে ব্রিটেন, গত রাতে এমনটাই জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আজ আনুষ্ঠানিক সায় দিয়েছেন ‘ব্রেক্সিট উইথড্রয়াল বিল’-এ। পার্লামেন্টে চূড়ান্ত স্তর পেরিয়ে ৩১ জানুয়ারি ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে। বরিস বলেছেন, ‘‘এক এক সময় মনে হচ্ছিল, ব্রেক্সিট ফিনিশ লাইনটা কখনও পেরোতে পারব না। কিন্তু পেরেছি। এ বার গত তিন বছরের হিংসা আর বিভাজনের পথ ফেলে এগিয়ে যেতে পারব।’’
‘ব্রেক্সিট উইথড্রয়াল বিল’ অনুমোদনের জন্য এ বার যাবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। তবে ধরে নেওয়া হচ্ছে এটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর কয়েক দিনের মধ্যেই চুক্তির শর্ত ঠিক হয়ে গেলে তাতে স্বাক্ষর করবেন জনসন।
তবে বিলের পথটা খুব মসৃণ ছিল, এমন নয়। হাউস অব লর্ডসে শেষ মুহূর্তে চাপের মুখে পড়েছিল বিলটি। পাঁচটি সংশোধনীর দাবি উঠেছিল। নিঃসঙ্গ শিশু শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব ছিল তার মধ্যে একটি। এখনকার ব্রেক্সিট বিল-এ নিঃসঙ্গ শিশু শরণার্থীর অধিকার রক্ষার কোনও পরিসর নেই। বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটিতে পক্ষে পড়ে ৩০০টি ভোট আর বিপক্ষে ২২০টি। যার ফলে এই ধরনের শরণার্থী শিশুকে পরিবারে ফেরানোর ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হবে বলে স্থির হয়েছে।