২২০ গ্রাম ওজনের একখানি হিরে পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ওজনের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম।
১০৯৮ ক্যারেটের হিরেটি বৎসওয়ানার একটি খনি থেকে বার করা হয়েছে সম্প্রতি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বৎসওয়ানায় উদ্ধার হওয়া হিরেটি সংস্থার ৫০ বছরের ইতিহাসে পাওয়া সবচেয়ে বড় আর মূল্যবান রত্ন।
যদিও এই হিরের দাম কত হতে পারে, তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি সংস্থাটি।
বড় হিরের নাম দেওয়ার প্রথা বহু দিনের। বৎসওয়ানার হিরেটির নামকরণও করা হয়নি এখনও।
বৎসওয়ানার সরকার এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মিলিত মালিকানার এই সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিনেট আর্মস্ট্রং জানিয়েছেন, হিরেটি সরকারি ভাবে বিক্রি করা হবে না কি ওই বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাজারে আনা হবে— তা এখনও ঠিক হয়নি।
সঠিক হিসেবে এই হিরের ওজন ২১৯.৬ গ্রাম। ২৭ মিলিমিটার পুরু হিরেটির দৈর্ঘ্য ৭৩ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ৫২ মিলিমিটার।
এর ঠিক আগেই রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিরে লেসেডি লা রোনা।
লেসেডির ওজন ১১০৯ ক্যারেট। অর্থাৎ ২২১. ৮ গ্রাম।
এই হিরেটিও পাওয়া গিয়েছিল বৎসওয়ানার খনি থেকেই। ২০১৫ সালে ওই হিরে খনন করেছিল লুকারা ডায়মন্ড নামে একটি সংস্থা।
লেসেডি ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলারে। এখনকার হিসেবে ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ৩৯৩ কোটি টাকা।
তবে এই দুই হিরের মোট ওজনের থেকেও অনেক বেশি ‘কালিনান স্টোন’-এর ওজন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিরে কালিনান ৩১০৬ ক্যারেটের। ওজন ৬২১.২ গ্রাম।
সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া হিরেটি বৎসওয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগুইৎসি মাসিসির হাতে তুলে দিয়েছে ওই সংস্থা।
বৎসওয়ানার খনিজ মন্ত্রী লেফোকো মোয়াগি জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের হিরে বিক্রি শিল্প অনেকটাই মার খেয়েছিল। নতুন হিরেটি অর্থনৈতিক ভাবে দীর্ণ দেশটিকে নতুন আশা জোগাল বলে জানান তিনি।
কারণ, হিরে বিক্রির ডিভিডেন্ট, রয়্যালটি এবং কর থেকেই ৮০ শতাংশ আয় হয় সরকারের।
তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এই সংস্থার হিরে উৎপাদনের পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমে যায়। ২০২০ সালে মোট ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ ক্যারেট হিরে উৎপাদন করেছিল সংস্থা। বার্ষিক হিরে বিক্রিও ৩০ শতাংশ কমে হয়েছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার।
নতুন হিরেটির ভরসায় অবশ্য ২০২১ সালে হিরে বিক্রির অঙ্ক ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সংস্থা।