ব্যাগের মধ্যে জুতো, ল্যাপটপের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে ছিল একটি বিশেষ বস্তু। প্রতীকী ছবি।
বিমানে ওঠার ঠিক আগে তখন চলছিল নিরাপত্তারক্ষীদের তল্লাশি। নিয়ম মেনে এক মহিলা যাত্রীর হাতব্যাগটি এক্স-রে যন্ত্রের ভিতরে ঢোকানো হয়েছিল। এর পরে স্ক্রিনে চোখ পড়তেই চোখ কপালে ওঠে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের। ব্যাগের মধ্যে জুতো, ল্যাপটপের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে রয়েছে একটি বিশেষ বস্তু। তল্লাশি করে দেখা যায়, সেটি একটি জীবন্ত সাপ। যেমন তেমন নয়, ‘বোয়া কনস্ট্রিক্টর’ গোত্রের চার ফুটের সেই সাপ বিষধর না হলেও শিকারকে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
গত মাসে আমেরিকার ফ্লরিডা প্রদেশের ট্যাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের। গত শুক্রবার পুরো বিষয়টি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে ওই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘ট্রান্সপোর্টেশন সিকিয়োরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (টিএসএ)। ইনস্টাগ্রামে এক্স-রে যন্ত্রের ভিতরের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। তার পরই ওই মহিলা যাত্রীর কীর্তি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।
ব্যাগের মধ্যে আস্ত সাপের ছবি দেখার পরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদের পালা। ওই মহিলা যাত্রীকে তাঁর প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে সাপটি তাঁর পোষ্য। নাম বার্থোলোমিউ। তবে শেষমেশ নিজের পোষ্য ছাড়াই এর পরে ওই মহিলা বিমান ধরেছিলেন কি না, সেটা স্পষ্ট নয় অবশ্য।