খালেদা জিয়া। — ফাইল চিত্র।
পালাবদলের বাংলাদেশে এ বার জাতীয় সংসদের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বিভিন্ন এলাকায় নেতা নির্বাচনের জন্য এ বার সরাসরি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। শনিবার নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা থেকে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। বিএনপি সূত্রের খবর, উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনপর্ব হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, লোহাগড় উপজেলা বিএনপির ভোটার সংখ্যা ৮৫২। পুরসভা এলাকায় বিএনপির ভোটার সংখ্যা ৪৫৯। এ ছাড়া ১২টি ইউনিয়নের (গ্রামাঞ্চল) বাসিন্দা দলীয় সদস্যেরা রয়েছেন এই তালিকায়। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে নতুন করে সক্রিয়তা শুরু করেছে বিএনপি। অবিলম্বে জাতীয় সংসদের নির্বাচন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়েছে তারা।
যদিও আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সম্প্রতি জানিয়েছেন, আগামী বছরের আগে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাঁর ব্যাখ্যা— নির্বাচনের জন্য অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি প্রয়োজন। প্রয়োজন ভোটার তালিকা সংশোধন করা। চলতি বছরের গোড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার আয়োজিত নির্বাচনে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে যে অশান্তি হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
তবে বিএনপি সেই যুক্তি মেনে নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। তার জন্য নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটাই ইউনূস সরকার করুক। সংস্কারের কাজে ইউনূস সরকারের এক্তিয়ার ও বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “সংস্কার করার মূল দায়িত্ব কিন্তু হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। আপনাকে যদি প্রশ্ন করি যে হু আর ইউ— এই সব সংস্কার করছেন, সংবিধান সংস্কার করছেন। আপনি কে? আপনার স্টেটাসটা কী? একটা আন্দোলন করে ছেলেরা আপনাকে বসিয়ে দিয়েছে আর আপনি সব দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন, আমি সেটা মনে করি না।”