Bangladesh Liberation War 1971

‘পাকিস্তানের সহযোগীরা এখন গলা ফোলাচ্ছে’! স্বাধীনতা দিবসের আগে বিএনপির নিশানায় জামায়াতে

ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে নেতা-কর্মীরা পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার সদস্য হিসাবে গণহত্যায় জড়িতও ছিলেন অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪২
Share:
(বাঁ দিকে) শফিকুর রহমান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শফিকুর রহমান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

স্বাধীনতা দিবসের আগে আবার রাজনৈতিক টানাপড়েন বাংলাদেশে। এ বার ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ বলে চিহ্নিত ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-কে নিশানা করল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি।

Advertisement

বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। তার আগে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের নাম না নিয়ে বলেন, ‘‘একাত্তরে পাকিস্তানিদের সহযোগীরা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইতিহাসকে কেউ বিকৃত করতে পারবে না।’’

রাজধানী ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক কর্মসূচিতে বক্তৃতায় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে হানাদার পাকিস্তানকেও নিশানা করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘‘২৫ মার্চের এই কালো দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করেছিল লাখো নিরীহ মানুষকে। কিন্তু পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি। এই কথাগুলি কেন বলছি? কারণ এখন পরিবেশ তৈরি হয়েছে— কিছু কিছু মানুষ, কিছু কিছু দল, কিছু কিছু গোষ্ঠী বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, একাত্তর কোনও ঘটনাই ছিল না!’’

Advertisement

ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার, আল বদর ঘাতকবাহিনীর সদস্য হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। হাসিনার জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। অন্য দিকে, খালেদার স্বামী তথা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাক সেনার প্রথম বাঙালি অফিসার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই জিয়াও স্বাধীনতার অন্যতম ঘোষক বলে পরিচিত।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একদা ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ হিসাবে পরিচিত জামাত এ বার স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে! জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য সংগঠনের সব শাখা এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর তার পরেই এই প্রতিক্রিয়া এসেছে বিএনপির তরফে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ইউনূসের জমানায় জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। বিশেষত, অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাপদে জামাত-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ এবং নির্বাচন ঘিরে টালবাহানার জেরে সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দু’দলের সংঘাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement