প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানের এক স্কুলে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন অন্তত ৪০ জন। আহত বহু। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে সে দেশের রাজধানী কাবুলে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, এবং এর পিছনে তালিবানদের ভূমিকা আছে বলে দাবি করেছেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই ছাত্রী। সৈয়দ উল সুহাদা স্কুলে এই বিস্ফোরণটি হয়। আহতদের স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে আফগানিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলের সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত মাসে আমেরিকার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে কাবুল থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে কথা ছিল, মে মাসের মধ্যেই সরানো হবে আমেরিকার সেনা। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের পরেই তালিবানদের তরফে হুমকি দেওয়া হয়, এর ফল ভাল হবে না। তখন থেকেই কাবুলকে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার।
এই বিস্ফোরণটি আসলে আফগানিস্তানে নারীশিক্ষার পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে বলেও দাবি করছেন অনেকে। সৈয়দ উল সুহাদা স্কুলটি ছেলে এবং মেয়ে— উভয়ের জন্যই। তিন ভাগে স্কুলটি চলে। সকালে প্রথম ভাগ ছেলেদের ক্লাসের জন্য বরাদ্দ, মাঝে মেয়েদের জন্য এবং দুপুরের পর থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত সময় আবার ছেলেদের জন্য বরাদ্দ। এমন সময়ে বিস্ফোরণটি হয়েছে, যখন স্কুলে শুধুই ছাত্রীদের ক্লাস চলছিল। সেখান থেকেই এমন ধারণা।