Chittagong Explosion

চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু কমপক্ষে ছ’জনের, আহত তিরিশেরও বেশি

শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধারের ওই অক্সিজেন কারখানাতে বিস্ফোরণ হয়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ২৩:১৫
Share:

চট্টগ্রামের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু অন্তত ছ’জনের। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে মৃত্যু অন্তত ছ’জনের। আহত তিরিশেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে শনিবার বিকেলে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। ওই কারখানায় শিল্পে ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেন তৈরি করা হত। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধারে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামে কারখানাটিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আশপাশের ২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার সমস্ত বহুতল থরথর করে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের পর ধাতব পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মাথায় লোহার টুকরো পড়ে মৃত্যু হয় এক স্থানীয় বাসিন্দার। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে অকুস্থল থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত।

সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে আগ্রাবাদ দমকলের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেককে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলি পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। সিলিন্ডার থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে পাঁচ জনই কারখানার কর্মী। মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ৬৫ বছরের শামশুল আলমেরও। তিনি বিকেলে বাড়ির দাওয়ায় বসেছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পান। তার পরেই তাঁর মাথায় উড়ে এসে পড়ে একটি বিরাট লোহার টুকরো। ঘটনাস্থলেই শামশুলের মৃত্যু হয়। শামশুলের ভাই মৌলনা ওবাইদুল মোস্তাফা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর দাদা বিকেলে বাড়ির দাওয়ায় বসেছিলেন। বিস্ফোরণের পর একটি ২৫০-৩০০ কেজি ওজনের লোহার টুকরো উড়ে এসে তাঁর দাদার মাথায় পড়ে। সেখানেই মৃত্যু হয় শামশুলের।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত ৮টায় উদ্ধারকাজ দিনের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবিবার সকালে আবার শুরু হবে উদ্ধারের কাজ। কারখানায় ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না তা জানা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement