প্রতিবাদে পথে এলিজাবেথ সিটির নাগরিকেরা। ছবি: পিটিআই।
কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তিকে গুলি করার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল নর্থ ক্যারোলাইনা প্রশাসন। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নর্থ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়া সীমান্তের কাছে এলিজ়াবেথ সিটি নামে একটি শহরে। নদীর ধারের ওই শহরটির জনসংখ্যা ১৮ হাজার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবারের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন তাঁদের অনেকে।
এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ দফতর ও স্টেট বুরো অব ইনভেস্টিগেশন। তারা জানিয়েছে, গুলি চলেছিল যে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির উপরে তাঁর নাম অ্যান্ড্রু ব্রাউন। তিনি এলিজ়াবেথ সিটিরই বাসিন্দা। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর বিরুদ্ধে তল্লাশি পরোয়ানানিয়ে হাজির হয়েছিল পুলিশ। সেই সময়েই গুলি চলে অ্যান্ড্রুর উপরে। অ্যান্ড্রু তখন সশস্ত্র অবস্থায় ছিল কি না, বা পুলিশকে আক্রমণ করেছিল কি না, তা জানাননি তদন্তকারীরা। ব্রাউনের বিরুদ্ধে কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, স্পষ্ট নয় তা-ও।
ঘটনাচক্রে, এই ঘটনার এক দিন আগেই মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অ্যান্ড্রু ব্রাউনের আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, ৪০ বছরের ওই আফ্রিকান-আমেরিকান পিতা ঘটনার সময়ে তাঁর বাড়ির কাছেই একটি গাড়িতে ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যেক পুলিশকর্মীর শরীরে ক্যামেরা লাগানো ছিল। গত বছর জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় যে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়েছিল আমেরিকায়, এই ঘটনার পরে তা ফের উসকে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেও মিনিয়াপোলিসের ব্রুকলিন সেন্টারে ডন্টে রাইট নামে ২০ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বুধবারের ঘটনার পরে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আর অ্যান্ড্রু বলেছেন, ‘‘আমরা দ্রুত জবাব চাই না, যথাযথ তথ্য জানতে চাই।’’