ছবি: টুইটার।
দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়েও তেমন কোনও কাজ হচ্ছে না? অগত্যা, অ্যালার্জির ভয়ে জিভে জল চলে এলেও প্রিয় খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই হচ্ছে তো! মুখ ব্যাজার করে লাভ কি? এর থেকে বরং ‘কিস’ করুন।
অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ। ঠিকই দেখছেন। চুম্বন-ই না কি এর একমাত্র সহজ উপায়! পার্টনারকে ‘ডিপ কিস’ করুন আর অ্যালার্জি মুক্ত হয়ে যান। চুম্বনের এই মহিমার কথা অবশ্য কোনও রটনা নয়। রীতিমতো রিসার্চ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের সমস্ত প্রান্ত থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একজোট হয়েছিলেন বি়জ্ঞানীরা। সেখানেই জাপান এবং স্লোভাকিয়ার বি়জ্ঞানীরা চুম্বনের এই বিস্ময়কে তুলে ধরে ইগ নোবেল প্রাপকের তালিকায় নাম তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ডিপ কিসের মাধ্যমে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে চুম্বন ঠিক কী ভাবে ত্বকের সমস্যা দূর করতে কাজ করবে, সে ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি তাঁরা।
কী এই ইগ নোবেল?
এটি নোবেলের অন্য ধরনের গবেষণা। যা হাস্যকর শুনতে হলেও তার পিছনে বি়জ্ঞান লুকিয়ে রয়েছে। প্রতি বছরই এমন কিছু বিষয় বি়জ্ঞানীরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন। বছর খানেক আগে বিজ্ঞানীরা বরফের উপর দিয়ে হাঁটার সহজ উপায় তুলে ধরে ইগ নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন। বরফে হাঁটার বিশেষ জুতোর বদলে সাধারণ জুতোর বাইরে মোজা পড়ে নিলেও যে একই সুবিধা পাওয়া যায় তা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। চলতি বছরে এই তালিকায় রয়েছে ১০ টি এমন বিষয়। সেগুলি কী কী?
যেমন মুরগির পিছনের অংশে লাঠি লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, কী ভাবে ডাইনোসরেরা হাঁটাচলা করত। একমাত্র শব্দ ‘হুহ’ যা কি না সকল ভাষাতেই রয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য সাহিত্যে এই নোবেল পেতে চলেছেন বি়জ্ঞানীরা। ৩০ বছরে কী ভাবে ৮৮৮ বাচ্চার বাবা হয়েছিলেন নর্থ আফ্রিকার এক রাজা তা-ও অঙ্ক কষে বের করে এই নোবেল পাচ্ছেন বি়জ্ঞানীরা।