ছবি: সংগৃহীত।
মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিয়ে ধীরে ধীরে উদ্বেগ বাড়ছে গোটা বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের জন্য ২১ দিনের বিচ্ছিন্নবাস আবশ্যিক করল বেলজিয়াম সরকার। গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে চার জন সংক্রমিত এই ভাইরাসে। তার পরেই বিচ্ছিন্নবাস আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশ্বে বেলজিয়ামই প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ২১ দিনের বিচ্ছিন্নবাস আবশ্যিক করল।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ত্বকে র্যাশ, জ্বর, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে মাঙ্কিপক্সের। অনেকটা স্মলপক্সের মতোই। কিন্তু সাধারণত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেই এত দিন এই ভাইরাসের দাপট দেখা যেত। বাঁদরের শরীরে প্রথম ভাইরাসটির সন্ধান মেলায় এর নাম দেওয়া হয় মাঙ্কিপক্স। ১৯৭০ সালে কঙ্গোয় প্রথম মানব শরীরে এই ভাইরাসের হদিস মেলে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে আফ্রিকার বাইরে বিশেষত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা ও কানাডায় যে ভাবে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
তবে বেলজিয়ামের ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, এই রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি নেই। আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে ওঠেন তাড়াতাড়ি। তাই হয়তো করোনার মতো অতিমারি বা মহামারির চেহারা নেবে না এই রোগ। তবে আক্রান্তের লালারস থেকে বা তাঁর দেহ স্পর্শ করলে কোনও সুস্থ মানুষ খুব দ্রুতই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সাবধানতা ও রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি।
এখনও পর্যন্ত মোট ১৪টি দেশে ছড়িয়েছে এই সংক্রমণ। তার মধ্যে ব্রিটেনে ২০ জন ব্যক্তি এতে আক্রান্ত। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নাইজিরিয়া থেকে আসা এক রোগীর দেহে গত ৭ মে প্রথম এই ভাইরাসের হদিস মেলে। আমেরিকাতেও ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে এই রোগ। হু-র পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত গোটা বিশ্বে মোট ৯২ জন এই রোগে আক্রান্ত। আরও ২৮ জনের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপ ছাড়া কানাডা এবং আর্জেন্টিনাতেও এই রোগের খোঁজ মিলেছে।