Darbuk-DBO Road

দারবুক-ডিবিও রাস্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন বেজিং

আকসাই চিনের সঙ্গে লাদাখের সীমা বরাবর লম্বা রাস্তাটি লে থেকে শুরু হয়ে কিছুটা দক্ষিণ-পূর্বে গিয়ে দারবুক থেকে বাঁক নিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০৪:৩৮
Share:

এলএসি-তে কৌশলগত সুবিধা-অসুবিধার ছবিটা বদলে দিচ্ছে ভারতের তৈরি এই নতুন রাস্তা।

দারবুক থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) পর্যন্ত ২৫৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। বাকি আর মাত্র ১৭ কিলোমিটার। আর এই বাকিটুকু শেষ করার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরাল এই রাস্তাটি কৌশলগত ভাবে ভারতের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে বেজিং। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তারা বাঙ্কার তৈরি করেছে। হয়েছে সেনা সমাবেশ। সূত্রের খবর, কিছু সীমান্তবিন্দুতে চিনা সেনা ঢুকে এসেছে ভারতীয় ভূখন্ডেও।

Advertisement

আকসাই চিনের সঙ্গে লাদাখের সীমা বরাবর লম্বা রাস্তাটি লে থেকে শুরু হয়ে কিছুটা দক্ষিণ-পূর্বে গিয়ে দারবুক থেকে বাঁক নিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে। তার পরে চলেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে উত্তর দিকে। শিয়োক হয়ে দৌলত বেগ ওল্ডিতে গিয়ে থেমেছে সেটি। সূত্রের মতে, এই রাস্তা নিয়ে চিনের উদ্বেগের কারণ একাধিক।

প্রথমত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের পরিকাঠামো উন্নত হলে তা চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাসের মতো। এই রাস্তাটির কারাকোরাম পাসে গিয়ে মেশার কথা। তার কাছেই চিনের সুবিশাল শিনজিয়াং প্রদেশ। চওড়া এবং মসৃণ রাস্তা বানিয়ে ভারতীয় বাহিনী শিনজিয়াং-এর দরজা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে, যা চাপে ফেলেছে শি চিনফিং সরকারকে। দ্বিতীয়ত, এই সড়কটির পশ্চিমে রয়েছে গিলগিট বালটিস্তান। তা পাকিস্তানের দখলে রয়েছে। এই এলাকাটি চিন এবং তাদের বন্ধু পাকিস্তানের কাছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কথা। তৃতীয়ত ১৯৬৩ সালের চিন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চলে ৫১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দখলে নিয়েছে চিন।

Advertisement

নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে অবশ্য চিনের দাবি মেনে এই রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং দফায় দফায় সামরিক স্তরে দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে জট ছাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “গত ৬ জুন চুসুল মলডো অঞ্চলে ভারত এবং চিনের কমান্ডারদের বৈঠক হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যে কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনা চলছে, এই বৈঠক তারই একটি অংশ।’’ তাঁর বক্তব্য, “শান্তি এবং সুস্থিতি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি।’’

আরও পড়ুন: রয়েছে অদ্ভুত সব প্রাণী, বহির্বিশ্ব থেকে সাড়ে ৫০ লক্ষ বছর বিচ্ছিন্ন ছিল রহস্যে ভরা এই গুহা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement