—ফাইল চিত্র
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আর্থিক ত্রাণ ও ব্যয় প্যাকেজ সংক্রান্ত বিলে সই করলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর সুবিধা পাবেন আমেরিকার কয়েক লক্ষ কর্মহীন নাগরিক। রবিবার রাতে ট্রাম্প ৯০ হাজার কোটি ডলারের এই বিলে সই করলেও আগে বিলটি নিয়ে বিস্তর আপত্তি ছিল তাঁর। গত সোমবার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস ও সেনেটে বিলটি পাশ হলেও মঙ্গলবার এর বিরোধিতায় ভেটো দেন ট্রাম্প। বিলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আরও বেশি টাকা আর্থিক সাহায্য হিসেবে দিতে হবে।’’
বিলটিতে বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তির রোজগার বছরে ৭৫ হাজার ডলারের কম তাদের ৬০০ ডলার করে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। কিন্তু ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, এই সাহায্যের অঙ্কটা খুবই কম। দেশবাসীকে কমপক্ষে ২ হাজার ডলারের আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া জরুরি। তবে শেষমেশ মত বদলান ট্রাম্প। এ দিকে, একটানা ২৬ দিন যাবৎ আমেরিকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ লক্ষেরও বেশি করোনা রোগী। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ডিসেম্বরেই দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার মানুষের। অতিমারি শুরুর পর থেকে যা সর্বাধিক। করোনা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচির বক্তব্য, আমেরিকার প্রতিটি রাজ্য করোনা রুখতে সমান তৎপর হলে এই সমস্যা হত না।
এ দিকে, নতুন করে আরও পাঁচ জন করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি হল বেজিংয়ে। প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশে বলা হয়েছে, বেজিংয়ের প্রতিটি জেলায় জারি থাকবে এই জরুরি অবস্থা। যে যে জায়গায় সংক্রমণ দেখা গিয়েছে সেই সেই অঞ্চলে আবাসন ও গ্রামের সীমানা বন্ধ করা হবে। সম্প্রতি বেজিংয়ে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছে যে শুন-ই জেলায়, সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতা জারি হয়েছে। গোটা জেলার ৮ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দু’টি গ্রাম। এর ঠিক পাশেই চাওয়াংয়ে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা হলেও প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ। পরীক্ষা হয়নি এমন ব্যক্তিদের গ্রাম ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: উহানে করোনা সংক্রমণের খবর প্রচারের ‘অপরাধে’ ৪ বছরের জেল
ব্রিটেনে আবার করোনাভাইরাসের নয়া ‘স্ট্রেন’ দেখা যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক বাড়ছে। লন্ডন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে তারা যে পরিমাণ জরুরি ফোন পেয়েছে তা অতিমারির প্রথম দফাতেও পায়নি। এ দিকে, লন্ডন থেকে যাওয়া তিন ব্যক্তির শরীরে সার্স কোভ-২ নামক নতুন এই করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে আজ জানাল দক্ষিণ কোরিয়া। ওই তিন জনই একই পরিবারের সদস্য। দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢোকার পরে তাঁদের শরীরে কোভিড সংক্রমণ দেখা যায়। সেই থেকে তাঁরা নিভৃতবাসে রয়েছেন। আজ বিট্রেন থেকে আসা বিমানের উপরে নিষেধাজ্ঞা ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল দেশটি।
আরও পড়ুন: ইইউ-এর ২৭ দেশে শুরু হল টিকাকরণ