(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রদূত-সহ সাত জন কূটনীতিককে দেশে ফিরতে বলল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। ঘটনাচক্রে, এই সাত জনের প্রত্যেককেই নিয়োগ করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। সাময়িক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের।
বাংলাদেশের এই সাত জন কূটনীতিকের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা, রাশিয়া, সৌদি আরব, জাপান, জার্মানির মতো দেশের রাষ্ট্রদূত। তা ছাড়াও রয়েছেন মলদ্বীপে নিযুক্ত হাই কমিশনার। মনে করা হচ্ছে, এই সাত জনের পরিবর্তে নতুন মুখ সামনে আনতে চাইছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। সে ক্ষেত্রে ঢাকার বিদেশনীতিতেও বড় বদল আসছে কি না, তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, বিদেশ মন্ত্রক এই সাত জনের প্রত্যেককে আলাদা করে নোটিস পাঠিয়ে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি দ্রুত তাঁদের ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে।
ওই সাত কূটনীতিকের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত পাঁচ সরকারি আধিকারিকদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। সাত কূটনীতিকের তালিকায় রয়েছেন আমেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহম্মদ ইমরান, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ পাটোয়ারি, রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল হাসান, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তা ছাড়াও রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জ়াফর, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া, মলদ্বীপে বাংলাদেশের হাই কমিশনার এসএম আবুল কালাম আজাদ।