Remdesivir

বিশ্বে প্রথম, জেনেরিক রেমডেসিভির তৈরির দাবি বাংলাদেশি সংস্থার

‘‘বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।’’

Advertisement

অঞ্জন রায়

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০৯:০৩
Share:

বাংলাদেশে তৈরি রেমিভির ওষুধ। নিজস্ব চিত্র।

আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধটি পরীক্ষামূলক জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলো ২৯ এপ্রিল। সেই ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর এই ওষুধ তৈরি করে ফেলার দাবি করল। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন চলছে সেই ওষুধ সরবরাহের প্রস্তুতি। এসকেএফ-এর অন্যতম কর্তা সিমিন হোসেন জানান, “করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের এই কঠিন সময়ে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই যে, বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।”

Advertisement

প্রাথমিক পরীক্ষায় করোনাভাইরাস চিকিৎসায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস-এর এই ওষুধটিকে গত সপ্তাহেই ব্যবহারের অনুমতি দেয় আমেরিকা। জাপানও গত ৭ মে ওষুধটি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের উপর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে এই ওষুধ সে দেশে কবে তৈরি হবে, তা জানায়নি জাপান। তার আগেই এসকেএফ এই ওষুধ তৈরি করে তা সরবরাহের স্তরে চলে এল।

সংস্থার দাবি, এসকেএফই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক রেমডেসিভির তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এসকেএফ এই ওষুধটির বাণিজ্যিক নাম দিয়েছে রেমিভির। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিধি অনুযায়ী ওষুধের নমুনা ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে জমা দেওয়া হবে। ছাড়পত্র-সহ বাজারে আনার অনুমতি পাওয়ার পর ওষুধটি বিতরণ শুরু করবে তারা।

Advertisement

সিমিন আরও জানান, “সরকার গত মার্চ মাসে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অনুমোদন পাওয়ার পরই আমাদের বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেওয়া ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। দুই মাস ধরে আমাদের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল উপাদান সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে পর্যাপ্ত কাঁচামাল পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছি আমরা।”

আরও পড়ুন: ‘হয় ভুল, নয় অক্ষমতা!’ চিনের বিরুদ্ধে সুর নরম ট্রাম্পের

রেমডেসিভির উৎপাদনের একচেটিয়া স্বত্ব রয়েছে গিলিয়েডের, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশগুলো এ সব স্বত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে। তবে এখনই ওষুধটি খোলাবাজারে পাওয়া যাবে না। এটি দেয়া হবে করোনা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে।

রেমডেসিভির করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়। রোগের ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। কত দাম হতে পারে রেমিভিরের? সিমিন জানান, প্রতি ডোজ পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মতো দাম হবে। ওষুধটির প্রয়োগের দুই ধরনের ডোজ রয়েছে– ৫ ও ১০ দিনের। ১০ দিনে ৫৫ হাজার টাকার মতো এবং ৫ দিনের ডোজে ৩০ হাজার বাংলাদেশি টাকা দাম হতে পারে।

আরও পড়ুন: সন্তানে অনিচ্ছুক ইউরোপীয়রা

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement