প্রতীকী ছবি
এক দিকে যথেচ্ছ ভাবে দূরত্ব-বিধি এবং নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণের সাগরে ঘনাচ্ছে সুপার সাইক্লোন। তার মার আটকাতে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-মৃত্যুতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে ২১ জন মারা যাওয়ায় দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪৯। এ দিন মৃত ২১ জনের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, এক জন সিলেট বিভাগের এবং এক জন রাজশাহি বিভাগের বাসিন্দা। সংক্রমিতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭০। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হদিশ মিলেছে ১ হাজার ৬০২ জন নতুন সংক্রমিতের।
বিশিষ্ট অধ্যাপক, লেখক ও মৌলবাদ-বিরোধী আন্দোলনের নেতা মুনতাসির মামুন এ দিন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। দিন পনেরো আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরা নিয়ে ঢাকার চ্যালেঞ্জ মায়ানমারকে
সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইদের কেনাকাটা এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টার নামে বাংলাদেশ জুড়ে যথেচ্ছ ভাবে দূরত্ব বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। বাস-ট্রেন না চললেও যানজট ফিরে এসেছে রাজধানী ঢাকায়। রবিবার রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় সড়ক থমকে রয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটে। নাজেহাল হয়েছেন বহু রোগী।
এর মধ্যেই সুপার সাইক্লোন আমপান-এর পূর্বাভাসে অগ্রাধিকার বদলে গিয়েছে প্রশাসনের। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে উপকূলের নিচু এলাকার হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫২ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।