বাংলাদেশে করোনা আতঙ্ক।—ছবি এএফপি।
ঠিক ছিল মহা আড়ম্বরে সূচনা হবে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে বছরজুড়ে অনুষ্ঠানের। মঙ্গলবার সেই সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ আরও কয়েক জন বিদেশি অভ্যাগতের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে সে সবই বাতিল করতে হয়েছে। আপাতত সীমিত আয়োজনে মুজিব বর্ষের সূচনার পরিকল্পনা করেছে শেখ হাসিনার সরকার। তবে তাতে যাতে প্রাণের ছোঁয়া থাকে, সেটাও দেখা হচ্ছে। হাজির থাকতে না পারলেও ভিডিয়ো বার্তা পাঠাবেন মোদী।
নতুন কর্মসূচি অনুসারে কাল রাত আটটায় মুজিবের জন্মক্ষণে ঢাকার সোহরাবর্দি উদ্যানে আতশবাজি পুড়িয়ে শতবার্ষিকীর সূচনা করা হবে। জনসমাবেশ এড়িয়ে সরকারি-বেসরকারি সব টিভি চ্যানেল ও অনলাইন মিডিয়ায় এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তবে মঙ্গলবার সকালেই ঢাকায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে শেখ মুজিবের বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন হাসিনা। বাবার কবরে জানাবেন শ্রদ্ধা। ভোর শুরু হবে তোপধ্বনিতে। পতাকা তোলা হবে সব সরকারি দফতরে। এর পরে সারা বছর ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। সংক্রমণের প্রভাব কমলে ফের আড়ম্বরে অনুষ্ঠান করা যাবে— আপাতত সেই আশাতেই সকলে।
উৎসবের মধ্যেই করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশের সব স্কুল ও প্রেক্ষাগৃহ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার।