প্রতীকী ছবি।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে কোভিড প্রতিষেধকের বিষয়টিকে ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মামুদ। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে দু’টি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা হল, দু’দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে কোভিড প্রতিষেধক রফতানি। জয়শঙ্করের পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিষেধক কূটনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরেই। বাংলাদেশের প্রায় বারো লাখ মানুষ ভারতীয় প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। কিন্তু ভারত থেকে আর প্রতিষেধক পাঠানো যায়নি। ঘরোয়া ভাবে ঢাকাকে জানানো হয়, পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই আবার প্রতিষেধক পাঠানো হবে। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে নয়াদিল্লিকে সেই প্রতিযেধক পাঠানোর অনুরোধ ফের করেছে ঢাকা।
পাশাপাশি উঠেছে সংযোগ বাড়ানোর বিষয়টিও। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এখনও ভারতে ভিসা পাওয়া খুব সহজ নয়। আমার বোন পর্যন্ত একবার আমায় অনুরোধ করেছিলেন, ভারতের ভিসা সংগ্রহে সাহায্য করার জন্য। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতে আসা জরুরি ছিল।’’ দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়লে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও তার ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।