স্বল্প লোকবলেই কাজ চালাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। ছবি: রয়টার্স।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। একাধিক শহরে থানাগুলি পুলিশশূন্য। শেখ হাসিনার ইস্তফার পরের দিন থেকে ঢাকা শহরে দেখা মেলেনি পুলিশের। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের জরুরি পরিষেবা। বাংলাদেশ পুলিশের জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বর ৯৯৯-তে ফোন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে একের পর এক থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেই রাতেই ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে থানার পর থানায় হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। চলেছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উর্দিধারীরা। পুলিশকর্মীদের একটি সংগঠন নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে। বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, দেশের পুলিশি ব্যবস্থা বর্তমানে চলছে স্বল্প সংখ্যক লোকবলকে সঙ্গী করে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে পুলিশি পরিষেবার জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-তে ফোন করলেও পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে না বলে অভিযোগ।
হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে হেল্পলাইন নম্বরে যে অভিযোগগুলি এসেছে, সেগুলি বেশির ভাগই ডাকাতি, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত। এ ছাড়া কিছু কিছু পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগও ছিল বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাঁরা ফোন করেছেন, তাঁদের শুনতে হয়েছে, থানায় কোনও পুলিশকর্মী নেই। ‘প্রথম আলো’-কে ওই সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল যে, থানাগুলিতে পুলিশকর্মীরা যখন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখনও ফোন করে সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ।
পরিষেবায় বিঘ্নের বিষয়ে ‘প্রথম আলো’ যোগাযোগ করেছিল জরুরি পরিষেবা হেল্প লাইনের প্রধান তথা পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শকের সঙ্গেও। তিনিও জানিয়েছেন, থানায় পুলিশ না থাকার কারণে সীমিত পুলিশকর্মী নিয়ে কাজ চলছে। ফলে ফোন এলেও সাহায্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।