বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে ‘জুলাই গণহত্যা’-র পর পেরিয়ে গিয়েছে এক মাস। এ বার সেই রাষ্ট্রীয় হত্যার বিচার চেয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের নয়া অন্তর্বর্তিকালীন সরকার।
সূত্রের খবর, হাসিনাকে ফেরাতে ভারত সরকারের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি করার কথা ভাবছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) নবনিযুক্ত প্রধান আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘শীঘ্রই আইসিটির কাছে মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ এবং গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনা-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানাবে ঢাকা।’’ তাজুল আরও জানিয়েছেন, এর পর তাঁরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করবেন। হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হবে। সত্যতা যাচাইয়ের পর সেই প্রমাণগুলিকে একত্র করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সামনে পেশ করা হবে।
অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতা নুরজাহান বেগম জানিয়েছেন, জুলাই এবং অগস্ট মাসে হাসিনা-সরকারের মদতে পুলিশি সন্ত্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ। বহু মানুষ জখম হয়েছেন। বিভিন্ন মহলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’-র অভিযোগ উঠেছে। গত মাসেই এ নিয়ে হাসিনা-সহ ন’জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে সক্রিয় হয়েছিল আইসিটি। অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের বিদেশ বিষয়ক পরামর্শদাতা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনও জানিয়েছিলেন, বিচারের স্বার্থে হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। এ বার স্পষ্ট জানিয়ে দিল ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু করে দেবেন তাঁরা।