শাহরিয়ার আলম। নিজস্ব চিত্র
মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে সৌহার্দের পথে নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে দুই বন্ধু দেশ বাংলাদেশ ও ভারত। শনিবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের বাগানে এক অনুষ্ঠানে তেমনই ইঙ্গিত ঢাকার বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের। সেই সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও নানা চক্রান্ত চলছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী-শিবির তথা তখনকার ‘শত্রুদেশ’ পাকিস্তানের দিকে নাম না-করে আঙুল তুলেছেন বলে অনেকের অভিমত।
শাহরিয়ারের বাবা মুর্শিদাবাদের কান্দির কলেজছাত্র ছিলেন। দাদামশায়ের বাড়ি বর্ধমানে। এ যাত্রা ঢাকা থেকে সড়কপথে এ দেশে ঢুকে মন্ত্রীমশাই সপরিবার পূর্বপুরুষের ভিটে দর্শন করেন। এ দিন তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোটর ভেহিক্যালস এগ্রিমেন্ট আইন কার্যকর হতে চলেছে। এর ফলে, সড়কপথে ব্যক্তিগত ভাবে যাতায়াতেরও দরজা খুলে যাবে। তাতে এই বাংলারও অনেকেই গাড়িতে ঘুরে বাংলাদেশে নিজের ভিটে দেখতে পাবেন। শাহরিয়ার বলেন, "দুই প্রধানমন্ত্রীই দু’দেশের ১৯৬৫-র আগের যোগাযোগ ব্যবস্থা ফেরানোর পক্ষপাতী।"
বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান বিষয়ক দু’টি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার এ দিন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও চক্রান্ত চলছে। ৫০ বছর আগের দখলদার রাষ্ট্র সব দিক দিয়ে আমাদের থেকে পিছিয়ে। মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র বাংলাদেশ এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্থায়িত্ব খুঁজে পেয়েছে। অন্য দেশে জনপ্রতিনিধিরা মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন না।’’ মন্ত্রীর মতে, পুজোর আগে বাংলাদেশের অশান্তি, সমাজমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার— সবই চক্রান্তের রকমফের। কলকাতায় বাংলাদেশের ভিসা অফিস সরিয়ে ভিসা প্রক্রিয়ার বেসরকারিকরণ হবে বলেও শাহরিয়ার জানিয়েছেন। তাতে বাংলাদেশ যাওয়ার ভিসা পেতে সামান্য খরচও হবে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার জন্য শাহরিয়ার এ দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েকটি সূচকে ভারতের থেকেও আমার এগিয়েছি, কিন্তু বাংলাদেশকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য বন্ধু দেশ ভারতও কৃতিত্ব দাবি করতে পারে।’’ পশ্চিমবঙ্গের কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরও এ দিন দক্ষতার বিকাশে বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি বলে মন্তব্য করেন।