ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী ভূকৌশগত পরিস্থিতি। চিনা ঋণের জেরে শ্রীলঙ্কার ধসে পড়া অর্থনীতি। ভারতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ।
এই প্রতিটি বিষয়ের উপরে নজর রেখে বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে ঢাকা। বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, ‘হাই স্পিড’ রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য চিন হত্যে দিয়ে পড়ে থাকলেও, তা কার্যত বাতিল করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই দুই এলাকার মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন রয়েছে, তা যথেষ্টই কার্যকর। বিশাল বিনিয়োগ (১০০০ কোটি ডলার) করে সেখানে ‘হাই স্পিড’ রেল চালালে বাংলাদেশের বিশেষ লাভ নেই। বিষয়টি কতটা বাস্তবসম্মত এবং তার কতটা উপযোগিতা রয়েছে, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে চিনকে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে এখনও হাল ছাড়েনি বেজিং। সেই দেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমলিং এই প্রকল্পের চুক্তিপত্র সই করার জন্য বাংলাদেশের সরকারকে সম্প্রতি তাগাদা দিয়েছেন বলে খবর।
আগামী ২৫ তারিখ বাংলাদেশে বিপুল আড়ম্বরের সঙ্গে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হবে। গোটা বিষয়টি এখন দেশের জাতীয় আবেগের সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছে। চিনা নির্মাণ সংস্থার তৈরি এই সেতুর জন্য চিন বা অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে যে ঋণ নিতে হয়নি, নিজের দেশের টাকাতেই মূলত তা তৈরি হয়েছে, এ কথা যথেষ্ট গর্বের সঙ্গে প্রচার করছে হাসিনা সরকার। ৬ কিলোমিটারের এই সেতুটি কার্যকর হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বাণিজ্যের প্রভূত উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্বও কমবে প্রায় ৩ ঘণ্টা।
হাসিনা সরকারের এক সূত্রের কথায়, “এখনও পর্যন্ত চিন আমাদের দেশের যে সব পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করছে তাতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আর ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান ঋণদাতা সংস্থা এডিবি এবং জাপানের মতো দেশ।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।