Masood Bin Momen

কয়েক ঘণ্টার নোটিসে অবসরে বিদেশসচিব, ধৃত হাসিনার মন্ত্রী

সাংবাদিক বৈঠকের অব্যবহিত পরেই নোটিস দিয়ে বিদেশসচিব মোমেনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০০
Share:

হাসিনা আমলের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন ছবি সৌজন্যে ডিডি নিউজ।

এ বার শেখ হাসিনা আমলের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনকে বিদায় করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ডিসেম্বরে তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হত। কিন্তু রবিবার রাতে নোটিস দিয়ে যে ভাবে তড়িঘড়ি তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মোমেনের ছাঁটাইকে রুটিন এবং ‘হওয়ার ছিল’ বলা হলেও সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাঁর ‘গুরুতর ভিন্নমত’-এর কারণেই মোমেনকে কয়েক ঘণ্টার নোটিসে ছাঁটাই করা হল। রবিবারই উপদেষ্টা তৌহিদ তাঁর মন্ত্রকে সাংবাদিক বৈঠক করে নানা বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন। আদালত যদি চায় শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বিদেশ মন্ত্রক ভারতের কাছে দাবি জানাবে বলে জানিয়েছিলেন তৌহিদ। সেই সঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদ করে বাংলাদেশের কোনও লাভ নেই। সব প্রতিবেশী দেশকে নিয়েই চলতে চায় নতুন বাংলাদেশ সরকার।

এই সাংবাদিক বৈঠকের অব্যবহিত পরেই নোটিস দিয়ে বিদেশসচিব মোমেনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়। সেই সন্ধ্যাতেই বিদেশ মন্ত্রকের
তরফে মোমেনকে বিদায়ী অনুষ্ঠানে আপ্যায়িত করা হয়। নতুন বিদেশসচিব পদে চিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহম্মদ জসিমুদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, যিনি ৯ তারিখের আগে ঢাকায় আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এই ক’দিনও মোমেনকে কাজ করতে দেয়নি ইউনূস সরকার। অস্থায়ী বিদেশসচিব হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে নৌপরিবহণ দফতরের সিনিয়র সেক্রেটারি মোস্তাফা কামালকে।

Advertisement

সোমবার বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে এরশাদ ও হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং সাবেক সাংসদ হাজি সেলিমকে। জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)-র নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ইসলামকে জাতীয় ধর্ম করার যে সিদ্ধান্ত প্রাক্তন সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদ নিয়েছিলেন, তার বিরোধিতা করে নতুন দল গঠন করেছিলেন। পরে শেখ হাসিনা সরকারের শরিক হন পিরোজপুর থেকে ৭ বারের এই সাংসদ। একটা সময়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যশালী সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক ও প্রকাশকও ছিলেন মঞ্জু। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের বেশ কয়েকটি মামলা দিলেও ঠিক কোন মামলায় তাঁকে ধানমন্ডিতে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পুলিশ তা বলতে পারেনি। ঢাকার আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিমকেও সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের মামলায় তাঁকে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement