মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
গণআন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরতে এখনও দেড় বছরের বেশি সময় লাগবে! এমনটাই জানিয়েছেন, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অব লর্ডস’-এ মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনাসভায় সাখাওয়াত বলেছেন, ‘‘২০২৬ সালের মাঝামাঝি জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ নির্বাচন হতে পারে।’’
গত অগস্টে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এর পরে অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। কিন্তু এ বার ইউনূস-ঘনিষ্ঠ নৌ পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের উপদেষ্টার মন্তব্য প্রতিশ্রুতি পালনের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
আসিফের ব্যাখ্যা ছিল— নির্বাচনের জন্য অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি প্রয়োজন। প্রয়োজন ভোটার তালিকা সংশোধন করা। চলতি বছরের গোড়ায় তৎকালীন হাসিনা সরকার আয়োজিত নির্বাচনে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে যে অশান্তি হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে দ্রুত ভোটের আয়োজনের জন্য পদক্ষেপের দাবি তোলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।
এর পর ভোট পরিচালনার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ‘যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করার জন্য’ গত ৩০ অক্টোবর ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গড়ে ইউনূস সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়, ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদের ক্ষেত্রে দু’জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। তাঁদের মধ্যে থেকে কোনও এক জনের নাম বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু তার পর নতুন নির্বাচন কমিশনের ভোটের আয়োজন করতে কেন দেড় বছর লেগে যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন।