বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
কোনও ‘ডেভিল’ যেন পালাতে না পারে! মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে এই বার্তা দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই বাংলাদেশ জুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে, যার নাম ‘ডেভিল হান্ট’। অভিযানের নামকরণ করেছে সে দেশের মন্ত্রকই। এখনও পর্যন্ত হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযানে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, ‘ডেভিল’ বলতে অপরাধীদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। জাহাঙ্গীর বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তাদের দোসরেরা দেশে-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।” বাংলাদেশে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘শয়তানের খোঁজ’। এই বিশেষ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে রয়েছে অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলিও। ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের তদারকি করছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযানের মাঝেই সোমবার নরসিংদীতে ‘শয়তানের খোঁজ’ চলাকালীন গ্রেফতার হন নাদিম সরকার। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। বেশ কিছু মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করে থানার লক-আপে রাখা হয়। সেই সময়ে রাতের দিকে এক দল জনতা তাঁকে ছাড়াতে থানায় যায়। লক-আপের সামনে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলার সময়ে থানার এক কনস্টেবলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তির। লক-আপের সামনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলায় আপত্তি জানানোর জন্য কনস্টেবলকে ওই ব্যক্তি থাপ্পড়ও মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এই অভিযানের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিএনপির থেকেও সেই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। তাতে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।